ব্রিগেডের মধ্যমণি যেন আব্বাস, ক্ষুরধার ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক

নিজস্ব প্রতিবেদন : মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রবেশ ঘটে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর। আব্বাস সিদ্দিকীর প্রবেশের সাথে সাথেই সমর্থকদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। ভাইজান ধ্বনিতে ভরে যায় ‘ব্রিগেড’। এমনকি বেশ কিছুক্ষণের জন্য বক্তব্য থামাতে অধীর চৌধুরীকে। আর তারপর যখন মঞ্চে বক্তব্য ওঠেন, প্রথম থেকেই ক্ষুরধার আক্রমণ লক্ষ্য করা যায় আব্বাসের। আর এরপর এই জোটের ব্রিগেড সমাবেশের যেন মধ্যমণি হয়ে ওঠেন আব্বাস।

জোটের এই ব্রিগেড সমাবেশে বামেদের সাথে জোট চূড়ান্ত হওয়াই আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, “বামেরা মানুষের মনোভাব বুঝতে পেরে সদিচ্ছা দেখিয়েছেন। আমরা যে তালিকা দিয়েছিলাম, তার বেশিরভাগ দাবিই মেনে নিয়েছেন।”

বামেদের এমন সদিচ্ছার প্রতিদান হিসেবে তিনি মঞ্চ থেকে হুংকার দিয়ে বলেন, “সব বাঙালিকে বলবো, আগামী নির্বাচনে যেখানে যেখানে বাম শরিক দল প্রার্থী দেবে সেখানে মাতৃভূমিকে রক্ত দিয়ে হলেও আমরা স্বাধীন করবো। যেখানে যেখানে শরিক দল প্রার্থী দেবে জেতাতে হবে।”

রাজ্যের তৃণমূল সরকার, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রের বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাংলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন মমতা। নারীদের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। আমরা এর জবাব দেবো। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, একুশে মমতাকে জিরো করে দেখিয়ে দেবো।”

তিনি আরও বলেন, “কি হয়েছে, না হয়েছে দুর্দিনের ইতিহাস ভুলে বিজেপি সরকার ও বিজেপির বি টিম মমতাকে বাংলাকে উৎখাত করে ফেলবো।”

এর পাশাপাশি এদিন এই ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই জোট প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে ইঙ্গিতে কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় আব্বাসকে। মাত্র দুটি কথাতেই তিনি তার কড়া বার্তা স্পষ্ট করে দেন। বলেন, “ভিক্ষা চাই না, অংশীদারিত্ব চাই। কেউ যদি বন্ধু ভেবে আসতে চাইলে সমর্থন করবো।”

[aaroporuntag]
কথা বলতে এটুকু থাকলেও তাতেই বার্তা স্পষ্ট। যাঁদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেছেন, তাঁরা হয়তো বুঝেও গেছেন। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা আব্বাসের এই বক্তব্যে মনে করছেন জোট প্রসঙ্গে কংগ্রেসকেই তিনি কাঠগড়ায় তুলছেন। কারণ বামেদের সঙ্গে জোট রফা হয়ে গেলেও, কংগ্রেস সেভাবে আব্বাসের দলকে জায়গা ছেড়ে দিতে এখনও রাজি হয়নি।