কিডনি স্টোন থাকলে কখনোই খাওয়া যাবে না এই ৬ কাঁচা সবজি

কাঁচা শাক সবজি খাওয়ার প্রচুর উপকারিতা আছে। কাঁচা শাক সবজিতে এমন অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ মৌল থাকে যা রান্নার সময় নষ্ট হয়ে যায়। আর এই খনিজ মৌল এবং ভিটামিনগুলি মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কোনও কিছুর মাত্রাতিরিক্তপরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। তাহলে প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত, যাতে তার খাদ্য গুনাগুন একই থাকবে। তা রান্না করা হোক কিংবা কাঁচা?

কাঁচা শাকসবজির ক্ষতিকর দিকগুলি

কাঁচা খাবার রান্না করা খাবারের চেয়ে হজম করে শক্তকর। কাঁচা খাবার শরীরের শোষণকে কমিয়ে দেয় যার ফলে হজম প্রক্রিয়ার গতি ধীর হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু কাঁচা খাবারে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টও থাকে যেগুলি পুষ্টি শোষনের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে বাধা প্রদান করে। এই কারণেই শাক সবজি রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কাঁচা সবজি খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব

মানুষের শরীরে সব কিছু সহ্য হয় না। তাই কাঁচা সবজি প্রচুর পরিমাণে খেলে যে শরীর সুস্থ থাকবে তা কিন্তু নয়। সব কিছু খাওয়ারই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে। তাই আপনার যদি বমি ভাব, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা, ibs বা শরীরে ফোলা ভাব দেখতে পান তা আপনার শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এখান থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায় আপনি হয়তো প্রচুর পরিমাণে কাঁচা শাকসবজি খেয়েছেন। তাই সবসময় শরীরে যতটা দরকার ততটাই খাওয়া দরকার। বেশি পরিমাণে নয়।

কাঁচা শাকসবজি খাওয়ার পদ্ধতি

কাঁচা শাকসবজি আপনার শরীর যদি হজম করতে না পারে তাহলে এই শাকসবজি একটু হালকা সিদ্ধ করে নিয়ে খাওয়া উচিত। না হলে আপনার শরীরেরই ক্ষতি হবে। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম বা তামার পাত্রে মুসুর ডাল, স্যুপ ইত্যাদি সাথে সবজি রান্না করে খেতে পারেন।

কোন কোন কাঁচা সবজি খাওয়া যাবে না

এছাড়া কিছু কিছু শাকসবজি আছে যেগুলো কাঁচা অবস্থায় একদমই খাওয়া উচিত নয়। যেমন পালং শাক, চার্ড, ফুলকপি এগুলি কাঁচা অবস্থায় খেলে শরীরের কিডনিতে প্রভাব পড়বে। তার পাশাপাশি এই সবজিতে গয়ট্রোজেন থাকার কারণে কাঁচা অবস্থায় খেলে থাইরয়েডের ফাংশনকে প্রভাবিত করে। এছাড়া কিছু কিছু সবজি আছে যার জুস বানিয়ে খেলে আপনার শরীরের পক্ষে ভালো। তবে অত্যাধিক পরিমাণে নয়। যেমন বিট, গাজর, শশা, আদা এবং ধনেপাতার জুস করে তাতে এক চিমটে নুন দিয়ে খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকার।