গেরুয়া পথে! জল্পনা বাড়াচ্ছে রুদ্রনীল

নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে নিয়ে এবার জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। বুধবার তার জন্মদিনের শুভলগ্নে সকালেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন। এরপর জানা যায় রাতেই তার কাছে প্রস্তাব এসেছে বিজেপিতে যোগদানের। শুধু প্রস্তাব নয় ইতিমধ্যেই তার সাথে দেখা করেছেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পান্ডা। পাশাপাশি রুদ্রনীল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে দেখাও করবেন বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

রুদ্রনীলকে আকারে ইঙ্গিতে বোঝাতে দেখা গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির ওঠানামার কোন ট্রেন্ড তার নজর এড়ায়নি। অন্যদিকে আবার তার কথাই ইঙ্গিত মিলছে শাসক দলের একাংশের কার্যকলাপে তিনি কতটা খুশিও নন। তবে এমত অবস্থায় তিনি আরও কিছুটা সময় নিয়ে নিতে চাইছেন। আর এসবের মাঝেই বুধবার রাতে অভিনেতার বাড়িতে হাজির শঙ্কুদেব পান্ডা।

দুজনের ঘন্টাখানেক কথা বার্তা হয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আলোচনা শেষে শঙ্কুদেব পান্ডা গেরুয়া শিবিরের স্বাগত জানান রুদ্রনীল ঘোষকে। পাশাপাশি রুদ্রনীল ঘোষকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে দেখা করার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতেও তিনি রাজি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এখন বাইরে থাকায় কলকাতা ফিরলেই তার সাথে দেখা হবে।

অন্যদিকে আবার রুদ্রনীল ঘোষের জন্মদিনে সকালেই ফুল পাঠিয়ে তাকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এমন জল্পনার পরিস্থিতিতে রুদ্রনীল অবশ্য জানিয়েছেন, “একটা প্রস্তাব এসেছে বিজেপির তরফ থেকে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেও আমার সাথে কথা বলেছিল ওরা। তবে আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিই নি।” পাশাপাশি তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে দেখা করার বিষয়ে জানান, “যে কোন দলের অভিজ্ঞ রাজনীতিকের সাথে দেখা করার আমার কোন বাধা নেই। কারণ দীর্ঘদিন ধরে আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম।”

রুদ্রনীল ঘোষ ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে কালক্রমে নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর আন্দোলনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আরও কয়েকটি পদ ছিল তার খাতায়। কিন্তু ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তাল কাটতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সমস্ত সরকারি পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। আর এসবের মাঝেই রুদ্রনীলের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ঘোষণা এবং বিজেপি নেতাদের আনাগোনা জল্পনা তৈরি করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে।