পর্দার ভিলেন রিয়েল লাইফে ভগবানের আসনে, চলছে সোনু সুদের ছবিতে আরতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : পৃথিবীতে অসম্ভব সবকিছুকে সম্ভব করতে পারে একটি কাল্পনিক চরিত্র। আর তারাই হয়ে ওঠেন সুপার হিরো। পৃথিবীতে অ্যাভেঞ্জার্স থেকে শক্তিমান এমন অনেক সুপার হিরোর আবির্ভাব হয়েছে অবতার রূপে। তবে এতদিনের পর্দার এই সকল সুপার হিরোর পর বাস্তবে আবির্ভাব হয়েছে আরও এক সুপার হিরোর। যিনি কিনা আবার পর্দার ভিলেন। রিল লাইফে হিরো হয়ে উঠতে না পারলেও ভারতে লকডাউন চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে হয়ে উঠেছেন রিয়েল লাইফ সুপার হিরো হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই ভারতে জারি হয় লকডাউন। আর এই লকডাউন চলাকালীন অজস্র পরিযায়ী শ্রমিক ও মানুষেরা যারা আটকে পড়েন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে, সেই সকল হাজার হাজার মানুষদের নিজের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে, নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে পর্দার ভিলেন আজ হয়ে উঠেছেন বাস্তবের ভগবান। আর এর পরেই একের পর এক জায়গায় সোনু সুদকে ভগবানের আসনে বসানো শুরু হয়েছে। আর এমন বিশেষ মুহূর্তগুলির ভিডিও শেয়ার করেছেন মনিশ নামে এক ব্যক্তি।

মনিশ নামে ওই ব্যক্তির শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক মা তার সন্তানকে লকডাউন চলাকালীন ফিরে পেয়ে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “আমার সন্তান আমার কাছে ফিরে এসেছে, এর জন্য আমি কিভাবে আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করব তা আমার বলার ভাষা নেই। রাখি বন্ধনের পর যেভাবে একজন বোন তার ভাইয়ের কাছে উপহার চাই, ঠিক সেইভাবে উপহার না চাইতেই সোনু ভাই এমন বড় উপহার আমাকে দিয়ে দিলেন। আর এই উপহারকে কোনদিন ভোলা যাবে না। আমি আমার ছেলের জন্য ছটফট করতাম। আর সোনু ভাইয়ের এই উপহার ঠিক যেন মরুভূমিতে এক বিন্দু জল আর ছটফট করতে থাকা এক মাছের সমুদ্র পেয়ে যাওয়ার মত।”

ঠিক একই ভাবে আরও একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সোনু সুদকে ভগবানের আসনে বসিয়েছেন এক যুবক। তারপর তিনি তার ছবিতে ভগবানের মতো আরতি করে পুজো করছেন। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল হয়েছে। আর এই ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “যে আমাকে মায়ের কাছে এনে দিয়েছেন উনি ভগবান। সোনুর মত সবাই ভগবান নন। আমি আপনাকে ভগবান হিসাবেই মনে করছি। আপনি আমার স্বপ্নপূরণ করে মায়ের কাছে নিয়ে এসেছেন।”

প্রসঙ্গত, এই লকডাউন চলাকালীন সোনু সুদ হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ও মানুষ যখন অসহায় অবস্থায় অন্য রাজ্যে দিনযাপন করছিলেন ঠিক তখন তাদের পাশে দাঁড়াতে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করে একে একে সকলকে বাসে, বিমানে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়াও তিনি ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ আছড়ে পড়ার সময়ে মুম্বই উপকূল এলাকা থেকে ২৮০০০ অসহায় মানুষকে নিরাপদ স্থান দিয়েছেন, পাশাপাশি তাদের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন। অথচ এই সোনু সুদই একসময় খুব কষ্টের সাথে দিন যাপন করেছিলেন। লোকাল ট্রেনে কর্মস্থলে যাতায়াত করতেন, এমনকি নিজের খরচ চালানোর জন্য বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছেন।