Picnic in Digha: এই বছরের শুরুর দিকে সমুদ্র সৈকত শহরে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দীঘা প্রশাসন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রাত ১১.৩০ টার পরে পর্যটকদের হোটেলের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না এবং দোকান মালিকদেরও রাত ১১.৩০ টার পরে তাদের দোকান খোলা রাখতে দেওয়া হবে না। এর আগে এত কঠোর নিয়ম ছিলনা। কিছু কিছু হোটেল সময় বেঁধে দিলেও তা মানা হতো না বললেই চলে। কিন্তু এবার স্বয়ং প্রশাসন থেকে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি পিকনিকেও বাধ সাজছে (Picnic in Digha)।
অতিরিক্ত মনিটরিং থাকবে এবং সেই মতো নিয়ম পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ বার দীঘায় প্রশাসনের কড়া নজরদারি চলবে। আসলে দীঘায় ধর্ষণের একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে যার পরেই পুলিশ প্রশাসন পর্যটকদের স্বার্থে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে শুরু করেছে, এক আধিকারিক জানিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা বরাবরই পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এবার দীঘায় পিকনিক (Picnic in Digha) করা নিয়েও কড়া হতে চলেছে দীঘা প্রশাসন।
ডিসেম্বর-জানুয়ারি মানেই চারিদিকে ঘোরাফেরা আর পিকনিক করা। বাঙালীদের প্রথম ঘোরার জায়গা মানেই হলো দীঘা। কম বাজেটে চটজলদি চলে যাওয়া যায় বলেই অনেকেই সপ্তাহান্তে ছুট লাগে দিঘাতে। বড়দিন থেকে শুরু করে নিউইয়ার পর্যন্ত এই দিনগুলিতে দিঘায় বহু লোক পিকনিকের জন্য যায়। শুধুমাত্র দীঘা নয়, মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুরেও মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে পিকনিকের জন্য। কিন্তু এবার পিকনিকে বাধা দিল দীঘা প্রশাসন। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন:
Susunia Hill: সবুজের মায়া ঘেরা বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়, এবার শীতে ঘোরার জন্য হবে সেরা ঠিকানা
শীতের সময়টা দিঘাতে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। যেহেতু দীঘা খুবই জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র, তাই পর্যটকদের ভিড়ও হয় চোখে পড়ার মতো। হোটেল থেকে রিসর্ট সব জায়গাতেই প্রচুর ভিড়। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে যে, ঝাউবনের যেখানে সেখানে পিকনিকের জন্য বসা যাবেনা। এমনকি যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক করাও যাবেনা। গাড়ি পার্কের জন্য হেলিপ্যাড ময়দানের কাছে পার্কিং জোন করা হয়েছে। তাই যারা পিকনিক করতে চাইছেন তারা হেলিপ্যাড ময়দান সংলগ্ন এলাকায় বা ওসিয়ানা ঘাট এবং আরও কয়েকটি নির্ধিষ্ট স্পটে পিকনিক করতে পারবেন।
পিকনিকের (Picnic in Digha) সময় থার্মোকল বা প্লাস্টিকের বাটি, থালা এসব ফেলা যাবেনা। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গবেষণা বোর্ডের অর্থায়নে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত গন্তব্যগুলির মধ্যে দুটি দীঘা এবং পুরীর উপকূলীয় জল এবং পলিতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উদ্বেগজনক মাত্রা পাওয়া গেছে। এটি সামুদ্রিক জীবন এবং পর্যটকদের স্বাস্থ্যের উপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ তুলে ধরে। তাই পুলিশ প্রশাসন কড়া নিরাপত্তা নিচ্ছে।