২০-২৫ টি পঞ্চায়েত খরচ করতে পারেনি উন্নয়নের টাকা, কড়া দাওয়াই জেলাশাসকের

হিমাদ্রি মণ্ডল : ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন পঞ্চায়েতে পরে থাকায় টাকার খতিয়ান নিয়ে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান ও নির্মাণ সহায়কদের নিয়ে সোমবার একটি প্রশাসনিক বৈঠক করা হয় সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ, বীরভূমের ৩ মহাকুমার মহকুমা শাসক সহ ব্লক আধিকারিকেরা।

এদিন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা ও জেলা পরিষদ পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ও প্রধানদের কাছে কারন জানতে চান, এত টাকা পরে রয়েছে কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে কোনো সদুত্তর না পেয়ে ও কাজ ঠিকমতো না করায় ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় নির্মাণ সহায়ক থেকে পঞ্চায়েত প্রধানদের।

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “১৬৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যেও প্রায় ২০-২৫ টি পঞ্চায়েতের কাজ একদমই ভালো নয়। কারোর কারোর ৮০ লক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত এখনো পরে আছে কাজ হয়নি বলে। বিশেষ করে মহঃবাজার ব্লক কাজ করেনি। সবাই বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে আমরা সঠিক জায়গায় চলে আসবে। এরপরে না হলে প্রশাসনিক নিয়মে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।”

কিছুক্ষণ পরেই এসে উপস্থিত হন এসআরডিএ চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এসে কাজের খতিয়ান শোনেন। দেখা যায় মহঃবাজার ব্লকের কিছু পঞ্চায়েতের কাজ ঠিক করা হয়নি। বিশেষ করে ডেউচা গ্রাম পঞ্চায়েতে। তাই ডেউচা পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সাক্ষী গোপাল পালকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এলাকার ব্লক সভাপতিকে। এছাড়াও যেসকল পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক ঠিক করে কাজ করতে পারেননি তাদের জেলা পরিষদ পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহকে নির্দেশ দেন, বীরভূমের শেষ প্রান্তের দিকে পোস্টিং দিতে যাতে। তাদের বাড়ি থেকে দূরত্ব হয় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার।

যদিও অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আগামী ৩১ শে মার্চের মধ্যে সেরকম টাকা পরে থাকবে না, প্রায় কাজ হয়ে যাবে। কারণ আমাদের ডিএম, এসডিও, জেলা পরিষদ খুব ভালো কাজ করে, আর টাকা পরে থাকার পঞ্চায়েতের শতাংশ খুবই কম।”