ভিন রাজ্য থেকে এলেও হবে মেডিকেল টেস্ট, করোনা ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন

হিমাদ্রি মন্ডল : বিশ্বে দিন দিন বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, পাল্লা দিয়ে ভারতেও বাড়ছে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা। বুধবার ভারতের সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৪, কলকাতাতেও এক যুবকের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, আর মৃত ৩। আর এরপর এই ভাইরাসকে ঠেকাতে আরও তৎপর প্রশাসন। এখন থেকে বিদেশ তো দূরের কথা, ভিন রাজ্য থেকে এলেও আগে করতে হবে মেডিকেল টেস্ট, এমনই ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য দপ্তরের। শুধু বাড়ি যাওয়াই নয়, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা। এমনই কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। তবে কোথাও কোনো আতঙ্কের কারণ নেই বলে জানান চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা অনুসারে করোনা থেকে দূরে থাকার জন্য সচেতনতা ও ভিন রাজ্য থেকে জেলায় আসা ব্যক্তিদের বুধবার দেখা গেল মেডিকেল টেস্ট করাতে। এদিন বীরভূমের বিভিন্ন স্টেশনগুলিতে ভিন রাজ্য থেকে আসা দূরপাল্লার ট্রেনগুলি থেকে নামা যাত্রীদের প্রথমে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চেকআপের জন্য। সিউড়িতে আসা চেন্নাই গৌহাটি এক্সপ্রেসের যাত্রীদের বাড়ি যাওয়ার আগেই নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। তাদের চিকিৎসা হয়, তারপর বাড়ির জন্য রওনা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ফিরে আসার পর কয়েকদিন বেশি লোকের সাথে মেলামেশা করতে বারণ করা হয়। পাশাপাশি হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে এদিন চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়া এক যুবক যখন বাড়ি ফিরছিলেন। তবে কিছুদিন ধরে জ্বর, সর্দি কাশি হওয়ায় আগাম তাকে অন্ডাল স্টেশন নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে।

আর এই পুরো প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সিউড়ি সদর হাসপাতালে সুপার শোভন দে জানান, “আতঙ্কের কিছু কারণ নেই। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা মেনেই আমরা এই কাজ চালাচ্ছি। জ্বর, সর্দি কাশি ইত্যাদি যদি কারোর হয়ে থাকে তাহলে তাদের দ্রুত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদি তাদের মধ্যে কোন কিছু থাকে, তাহলে সেটা যেন অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে না পারে সে কারণে আমাদের এই উদ্যোগ। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করার জন্য আলাদা করে ৬ থেকে ৭ জন চিকিৎসককে নিযুক্ত করা হয়েছে।”