পেঁয়াজের পর বাড়ছে আরও একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যবিত্তদের কপালে হাত পড়েছে। এবার বাড়তে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম। যেসব দেশ থেকে ভারত এই তেল আমদানি করে সেখানে পাম তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই এই দাম বৃদ্ধি।

গত দু’মাসে অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ২৬ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত দু’মাসে সর্ষের তেলের দাম কুইন্টাল প্রতি ৩০০ ডলার বেড়েছে এবং সয়াবিনের তেলের দাম প্রতি কুইন্টাল প্রায় ৪০০ ডলারে উঠে গেছে। যার ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন আমজনতা।

মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় বায়ো-জ্বালানীর কর্মসূচিগুলি সেই সব দেশে পাম তেলের ব্যবহার বাড়িয়েছে। সেইসকল দেশ থেকে ভোজ্য তেল আমদানি হওয়ার ফলে দাম বেড়েছে এবং তার ফলস্বরূপ গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা চাপানো হচ্ছে। তার ওপর ভারতে স্বল্প উতপাদনশীলতা এবং ভারী বর্ষণের ফলে হওয়া ক্ষতি গ্রাহকদের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খরিফ তেলবীজ বিশেষত সয়াবিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল, যার ফলে আরো বৃদ্ধি পায় দাম, এছাড়াও মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার জৈব জ্বালানীর জন্য যে প্রোগ্রামগুলি সেগুলি এই চড়া দামকে সমর্থন করার ফলেও দামের বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে সলভেন্ট এক্সট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক বিভি মেহতার কথা অনুযায়ী, এই বর্ধিত দামে কৃষকরা ভাল উপার্জন পাবে এবং যার ফলে ফলনের ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। ফলত, দেশ বর্তমানে যেরকম আমদানির ওপর নির্ভরশীল সেই নির্ভরশীলতাও কমবে। তিনি আরও বলেন যে, দেশে সাধারণত কৃষকরা তেলবিজের ভালো দাম পাননা যার ফলেই তারা এই ফসলের চাষ করেন না।

ভারত বিশ্বের বৃহত্তম ভোজ্যতেলের আমদানিকারক দেশ। ২০১৮-১৯ এর আগের মরসুমে (নভেম্বর-অক্টোবর), ভারত ১৫৫ লক্ষ টনেরও বেশি উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি করেছিল, যার মধ্যে ১৪৯.১৩ লক্ষ টন ভোজ্যতেল ছিল।

তেল বাজার বিশেষজ্ঞ জাতীয় স্তরে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সলিল জৈন বলেন যে, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে নভেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল স্টক প্রায় ২১.৫ মিলিয়ন টন, যা প্রায় ৮.৫ শতাংশ কম অনুমান করা হয়েছে এবং তিনি আরও বলেন যে, আগামী দিনে আরও তেল ও তেলবীজের দাম বাড়তে পারে।