নিজস্ব প্রতিবেদন : খুব শীঘ্র ভারতে চালু হতে চলেছে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত রেল পরিষেবা। যদিও রেলের এই বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার রেলের কর্মী সংগঠনগুলি। কিন্তু সেসবকে তোয়াক্কা না করেই খুব তাড়াতাড়ি ভারতে চালু হতে চলেছে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত রেল পরিষেবা।
তেজস এক্সপ্রেস প্রথম ভারতে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত ট্রেন রূপে পরিগণিত হবে। দিল্লি এবং লখনৌ এই দুই শহরের মধ্যে চলবে এই ট্রেনটি। ওপেন বিডিং পদ্ধতির মাধ্যমে ভারতীয় রেল এই ট্রেনটিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে ছেড়ে দিবে। আর আগামী দিনে এরকমই আরো একটি রুট খোঁজা হচ্ছে ভারতীয় রেলের তরফে, যে রুটেও আরও একটি ট্রেনকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত এই ট্রেন তেজস আগামী ১০০ দিনের মধ্যেই তার পরিষেবা চালু করবে। প্রসঙ্গত, তেজস অথবা আরও একটি যে রুট বেছে নেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালনা করার জন্য সেই দুটি রুটের যাত্রাপথ ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যেই যাতায়াত করবে।
কিন্তু এ তো গেল রেলের কথা, যা সম্পর্কে মোটামুটি সকলেরই জানা আছে। এরপরেও কেন্দ্র সরকার আরো এক বড় পদক্ষেপের পথে।
গত মঙ্গলবার সংসদে পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি গলা ফাটিয়ে ছিলেন ভারতের ৩০% ড্রাইভিং লাইসেন্স ভুয়ো বলে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল সোমবার সংসদে পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি পেশ করেন ২০১৯ মোটর ভেহিকেলস বিল। এরপরই তিনি জানান দেশের যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় আনা হবে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা। দেশজুড়ে চালু হবে ‘লন্ডন পরিবহন মডেল’। তবে হ্যাঁ, সরকারের হাতে টাকা না থাকায় বেসরকারি উদ্যোগে সড়ক নির্মাণ হবে।
তবে তৃণমূলের সাফ কথা ২০১৯ মোটর ভেহিকেলস বিলের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করা হবে। কারণ এই নতুন বিলে রাজ্যগুলির সম্মতি ছাড়াই রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ডিলারায় মূল ভূমিকা পালন করবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রেও রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। লাইসেন্স দেবে কেন্দ্র সরকার, এরকম নানান অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের।
সংসদে ভাষণ তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে পূর্ব ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই অবহেলিত। সে ক্ষেত্রে পূর্ব ভারতের দিকে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন। পূর্ব ভারতের তুলনায় পশ্চিম ভারতে সড়ক নির্মাণ অনেক উন্নত।
এর জবাবে নীতিন গড়করি বলেন, হয়তো অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছি, কিন্তু একটা স্বপ্ন পূরণ হয়নি এমন কথা বলুন। সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাংলায়। রাজ্য সরকার ৮০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে দিক, যেখানে সড়ক নির্মাণ করতে বলবে করে দেব। কিন্তু জমি না পেলে সড়ক তো আর আকাশে হবে না! তবে এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টাও যথেষ্ট রয়েছে, তাকে দোষ দেওয়া যাবে না।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানান, ” ভারতমালা প্রকল্প এক হাজার কিলোমিটার রাস্তা হবে পশ্চিমবাংলায়।”