নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পরও সিবিআই আধিকারিকরা একের পর এক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন নথি উদ্ধার করছেন। এবার আরও একটু তৎপরতা বৃদ্ধি করতেই দেখা যায় একের পর এক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। একের পর এক এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কত বড় চক্র!
একের পর এক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সামনে আসার ঘটনা ঘটে চলেছে সিউড়িতে থাকা বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে। এই ব্যাঙ্কে কোনরকম আগাম বার্তা না দিয়েই প্রথম ৫ জানুয়ারি সিবিআই আধিকারিকরা হানা দেন। যেদিন হানা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার হয় ১৭৭ টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট এবং সেই সকল অ্যাকাউন্ট থেকে দশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে বলে জানা যায় সিবিআই সূত্রে।
এই ঘটনায় যাদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন কিছুই জানেন না। সিবিআই আধিকারিকরা তাদের দাবি অনুযায়ী বুধবার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরিপুর গ্রামে পৌঁছান। সেখানে তাদের বয়ান রেকর্ড করার পাশাপাশি ফের একবার হানা দেন ওই সমবায় ব্যাঙ্কে। নতুন করে সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেওয়ার পর ফের ১৫৫ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট উদ্ধার হয় বলে জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে।
নতুন করে ১৫৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করার পর সিবিআই আধিকারিকরা ওই সকল অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করা নির্দেশ দিয়েছেন এবং এই সকল অ্যাকাউন্ট কাদের নামে রয়েছে সেই সমস্ত নথি সংগ্রহ করেছেন সিউড়ির এই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে এখনো পর্যন্ত মোট ৩৩০ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করা হলো এবং এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
এত সংখ্যক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের উদ্ধার ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আর্থিক আদান-প্রদানের জন্য এই সকল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হতো তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে যাদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারা স্বাক্ষর পর্যন্ত করতে জানেন না। নকল স্বাক্ষর করে তাদের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বলাই বাহুল্য একপ্রকার তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।