বাইরের কোনো লোক যেন না ঢোকে, সতর্ক থাকতে বললেন অনুব্রত মণ্ডল

অমরনাথ দত্ত : “নানুর বর্ডার, লাভপুর বর্ডার, মুরারই বর্ডার, নলহাটি ২-এর বর্ডার। এই সব জায়গাগুলিকে আমরা সিল করছি। কারণ মুর্শিদাবাদের বেশিরভাগ লোক রাতে রাতে বীরভূমে আসার চেষ্টা করছে। যাতে বীরভূম ঢুকতে না পারে তার জন্য আমি এই চেষ্টা করছি।”

বীরভূমকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে জেলার সাথে অন্য জেলার যে সমস্ত বর্ডার রয়েছে সেগুলিকে সিল করার কথা জানালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুধু সিল করা নয়, জেলার প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বললেন, যাতে করে কোনো বাইরের লোক যেন কোথাও শেল্টার না নেয়।

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আপনারা সাংবাদিক, আমরা পার্টি করি, যাইহোক আমরা একটা পরিবার। তাই সবাই যেন দেখবেন বাইরের কোন লোক এসে যেন শেল্টার না নেই। তবে হ্যাঁ, সে আসতে পারে, আর আসতে গেলে থাকতে হবে মেডিকেল সার্টিফিকেট, ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকুক তার পরে আসুক তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। সব মানুষেরই আসার অধিকার আছে।”

এছাড়াও সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের সামনে বলেন, জেলার বেশকিছু মানুষ লকডাউন মানছে না। আর এই জন্য তিনি বলেন, “আপনারা সবাই সবাইকে লকডাউন মানতে বলুন। যেমন কিছু কিছু লোক লকডাউন মানছে না। এটা কিন্তু ঠিক নয়।”

পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল জানান, “লকডাউনের কারণে যেহেতু স্কুল বন্ধ রয়েছে তাই বীরভূম জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য আগামী বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বোলপুর হাইস্কুলের মাধ্যমে লোকাল টিভি চ্যানেলে পড়াশোনা করানো হবে। প্রত্যেক বিষয়ের ভিত্তিতে একদিন আলাদা করে পড়ানো হবে। প্রতিদিন দুটি করে বিষয় পড়ানো হবে।”

অনুব্রত মণ্ডল ঘোষণা করেন, “আগামী বুধবার আমি জেলার প্রত্যেকটা অঞ্চলের জন্য কম করে দেড়শ বস্তা করে চাল দেবো, ডাল দেব আর আদিবাসী পাড়াতে নুন, চাল, তেল আর ডাল দেব। আগামীকাল এই সব চাল-ডালের গাড়ি বোলপুর থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই সময় গরিব মানুষদের এই সকল খাদ্য সামগ্রী খুব দরকার আছে। তবে আমি যে মাল দেব তা প্রত্যেক এলাকার মানুষদের জন্য সাফিশিয়েন্ট হয়ে যাবে।”