যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে বিভ্রান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকেই এক প্রকার ভারতে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত রকম যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। এরপর যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকা নিয়ে নতুন নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয় রেলের তরফ থেকে। শেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী জানানো হয়েছিল আগস্ট মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত দেশে বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। আর এই সময়কালে চলবে কেবলমাত্র পণ্যবাহী ট্রেন এবং স্পেশাল ট্রেন যেগুলি লকডাউন চলাকালীন ভারতীয় রেলের তরফ থেকে ভারতের বিভিন্ন শহরের মধ্যে চলাচল শুরু করা হয়।

আগস্ট মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হলেও এযাবত দেশে করোনা সংক্রমণ আটকানো নিয়ে কোন আশার আলো দেখা যায়নি। বরং প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। যে কারণে সোমবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জারি করা নতুন একটি নির্দেশিকা মোতাবেক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর হয় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত।

নির্দেশিকা থেকে জানা যায়, ৩০ তারিখ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকা নিয়ে পূর্ব রেলের ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগ ডিভিশনগুলিকে নির্দেশ দেয়, নতুন করে জারি করা সময়সীমা পর্যন্ত সমস্ত লোকাল প্যাসেঞ্জার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ রাখতে। তবে রেলের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে লকডাউন চলাকালীন যেসকল স্পেশাল ট্রেনগুলি দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে চালু করা হয়েছিল সেগুলি চলবে। পাশাপাশি চলবে রেল কর্মীদের জন্য চালানো ট্রেনগুলিও।

কিন্তু এরপরেই আবার রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়, “কিছু সংবাদ মাধ্যম ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত রকম নিত্যদিনের ট্রেন চলাচল বাতিল নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কোনো রকম নতুন নির্দেশিকা জারি হয়নি রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে।” আবার এই ট্যুইটেই আলাদা করে একটি ফাঁকা জায়গা দিয়ে বলা হয়েছে, “স্পেশাল মেল এক্সপ্রেস ঘোষণা মতোই চলবে।”

একদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রেন বাতিলের চিঠি আর অন্য দিকে রেলমন্ত্রকের ট্যুইট, এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভ্রান্তি শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে।