১০০০ সঙ্গিনীর সঙ্গে সহবাস, এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর রোমান্টিক জীবন হার মানাবে ফিল্মকেও

ভারতের এক বিখ্যাত ধর্মগুরু রাম রহিমের কথা অনেকেই জানেন। তবে এমন ভন্ড সাধু শুধু ভারতেই নয়, সারা পৃথিবী জুড়ে অবস্থান করছে। আর সম্প্রতি এমনই এক সাধু নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এই ভন্ড সাধুর নাম আদনান ওক্তার (Adnan Oktar), বয়স ৬৬। আর তার কর্মকাণ্ড শুনে ভয় পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।

যদিও তিনি হারুণ ইয়াইয়া নামেও পরিচিত। ইনি তুরস্কের এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু। ইস্তানবুলের ফৌজদারি আদালত ওক্তার এবং তাঁর ১৩ সহকর্মীকে সাড়ে ৮ হাজার বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দিয়েছে সম্প্রতি। ফাইন আর্টস নিয়ে পড়াশোনার করার পর ধর্মগুরুর পথ বেছে নেন আদনান। আর ১৯৮০ সাল থেকে এক জন ধর্মগুরু হিসাবে পেশাগত জীবন শুরু করেন তিনি।

ধর্মগুরু হিসাবে কাজ করতে করতেই আদনানসিলর নামে একটি সংগঠন শুরু করেন ধর্মগুরু। পরে ১৯৯০ সালে সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন খুলে মহিলাদের পোশাক নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। মহিলাদের জন্য আধুনিক এবং ছোট ছোট পোশাক বানিয়ে ব্যবসাও শুরু করেন তিনি।

গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে যে, সংগঠনের আড়ালে আদনান অসামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তারপর ২০১৬ সালে আদনানের বাংলো এবং সংগঠনের দফতরে তল্লাশি চালায় তুরস্ক পুলিশ। যদিও সেই সময় কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

এরপর ২০১৭ সালেও আবার তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখন ওক্তার কোনও ক্রমে পুলিশের নাগাল থেকে পালিয়ে বাঁচেন। কিন্তু তার খোঁজ জারি রাখে পুলিশ।

অবৈধ ভাবে সংগঠন চালানো, শিক্ষা এবং যৌন অধিকার লঙ্ঘন, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, চরবৃত্তি-সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হয় এই ভন্ড সাধু। তারপর গত বছরের ১৭ নভেম্বর ওক্তারকে ৮,৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তুরস্কের আদালত। যা তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম বলে জানা গেছে।