দয়মন্তী সেনের কামব্যাক, কে এই দুঁদে আইপিএস অফিসার

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১২ থেকে ২০২২, মাঝে কেটে গিয়েছে ১০ বছর। মাঝে এই ১০ বছর কেটে গেলেও ফের শিরোনামে উঠে এলেন দয়মন্তী সেন। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ড, যে ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে ‘সাজানো ঘটনা’ বনাম ‘ঘটনাটা ধর্ষণেরই’ লড়াই নজরে এসেছিল। এই পাক্কা এক দশক পর ফের এই দুঁদে আইপিএস অফিসার কামব্যাক করলেন সেই ধর্ষণের মামলার তদন্তেই। অথচ একদিন এই অফিসারকে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার জন্য সরতে হয়েছিল যুগ্ম-কমিশনারের (ক্রাইম) পর থেকে। এখন তিনি আদালতের নির্দেশে হাঁসখালি-দেগঙ্গা-মাটিয়া-বাঁশদ্রোণীর ধর্ষণের মামলায় তদন্ত করবেন।

দয়মন্তী সেন যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। দুই ক্ষেত্রেই তিনি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। পুলিশের পোশাক দুঁদে এই আইপিএস অফিসার একেবারে ঘরোয়া মহিলা। তার রয়েছে এক পুত্র সন্তান। তিনি বাংলা সাহিত্য পড়তে ভালোবাসার পাশাপাশি রবীন্দ্র সংগীত শুনতে ভালোবাসেন। এমনকি পাকা রাঁধুনীর মত বাঁধতেও পারেন তিনি। তবেই নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন না এই আইপিএস অফিসার।

দয়মন্তী সেন ১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। তার বর্তমান বয়স ৫২ বছর। তিনিই প্রথম একজন মহিলা আইপিএস অফিসার হিসেবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিবাদ বাঁধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলেছিলেন। কিন্তু এই অফিসার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন। যে ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা দোষী সাব্যস্ত হন।

তবে এই ঘটনার মাত্র দু’মাসের মধ্যেই তাকে বদলি করা হয় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। এরপর দার্জিলিংয়ের ডিআইজি পদে এবং পরে যান সিআইডিতে। সিআইডিতে ডিআইজি পদে থাকার পর ২০১৯ সালে তিনি ফের কাম ব্যাক করেন কলকাতা পুলিশে। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার।

দুঁদে এই আইপিএস অফিসার নিজের চাকরির উত্থান পতনকে যেমন গুরুত্ব দেন না ঠিক তেমনি এইসব নিয়ে বিচলিতও নন তিনি। অপরাধীকে খুঁজে বের করাই হলো তার মূল লক্ষ্য। যে কারণে যখনই নিরপেক্ষ তদন্তের প্রসঙ্গ উঠেছে তখন নি একবার না একবার দুঁদে এই আইপিএস অফিসার দয়মন্তী সেনের নাম উঠে এসেছে।