শোরুম, সার্ভিস সেন্টার নেই, কিভাবে হবে Ola ই-স্কুটারের সার্ভিসিং

নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাটারি চালিত স্কুটারের বাজারে ইতিমধ্যেই মাত করতে দেখা যাচ্ছে Ola ই-স্কুটারকে। মূলত দিনদিন জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং পরিবেশ দূষণের কারণে যখন সাধারণ মানুষ ব্যাটারি চালিত গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন সেই সময় এই সংস্থা দুর্দান্ত লুকের দুটি ই-স্কুটার নিয়ে আসে। সংস্থার তৈরি এস ১ এবং এস ১ প্রো ভ্যারিয়েন্টের দুটি মডেল ইতিমধ্যেই লঞ্চ হয়েছে ১৫ আগস্ট।

শুধু লঞ্চ হওয়া বললে ভুল হবে, কারণ এর অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে এর প্রি-বুকিং। আর লঞ্চ হওয়ার দিন থেকেই বিক্রিতে রেকর্ড করেছে। ব্যবসা শুরু করার মাত্র দু’দিনের মধ্যেই ১১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে এই সংস্থা। পাশাপাশি তারা দাবি করেছে আগামী অক্টোবর মাস থেকে তারা সরাসরি গ্রাহকদের বাড়িতে ডেলিভারি দেবেন এই ই-স্কুটার।

এখানেই শেষ নয় এই সংস্থা তামিলনাড়ুতে একটি ফিচার ফ্যাক্টরি তৈরি করার পরিকল্পনাও করছে। যেটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরীর কারখানা। এই কারখানায় নিযুক্ত হবেন ১০ হাজার মহিলা কর্মী। পুরোদমে কাজ শুরু হলে এই কারখানা থেকে বছরে তৈরি হবে ১০ মিলিয়ন ইলেকট্রিক স্কুটার। আপাতত তামিলনাড়ুর এই ফ্যাক্টরির বছরে দুই মিলিয়ন ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে।

তবে এই ইলেকট্রিক স্কুটারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি, বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে একাধিক আলোচনা হলেও এ যাবৎ একটি আলোচনা হয়নি তা হল, এই ইলেকট্রিক স্কুটারের কোন শোরুম নেই, কোন সার্ভিসিং সেন্টার নেই। তাহলে এর সার্ভিসিং কোথায় হবে? আর এই বিষয়টি এবার সামনে এসেছে।

সম্প্রতি এই ইলেকট্রিক স্কুটারের সার্ভিসিং নিয়ে সংস্থার ওয়েবসাইটে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, নিয়মিত এই ইলেকট্রিক স্কুটারের দেখভাল হবে বাড়িতেই। অর্থাৎ বাড়িতে বসেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারের রেগুলার মেনটেনেন্স এবং চেকআপ হবে। তবে চিরাচরিতভাবে অন্যান্য স্কুটারের ক্ষেত্রে যেমন চেকআপ অথবা সার্ভিসিং করা হয় তার তুলনায় এতে রয়েছে ব্যতিক্রম।

অর্থাৎ অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে যেমন তিন মাস অথবা ছয় মাস অন্তর অন্তর মেইনটেনেন্সের প্রয়োজন হয়ে থাকে, ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হবে না। বরং কিছু প্রয়োজন হলে এই ইলেকট্রিক স্কুটার নিজে থেকেই ব্যবহারকারীকে সংকেত দিয়ে জানিয়ে দেবে। আর তেমন সংকেত পাওয়ার পর ব্যবহারকারী ওলা অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং করলেই সংস্থার কর্মচারীরা বাড়ি পৌঁছে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসটি বদলে দেবেন।