অস্বাভাবিক গরম আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাড়বে সাপের উৎপাত, রইলো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন, আমফান ঘূর্ণিঝড় মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেকটাই স্তব্ধ করে দিয়েছে। অস্বাভাবিক গরম ও আমফানের ঝড় বৃষ্টিতে খুব স্বাভাবিকভাবে সাপের উৎপাত বৃদ্ধি পাবে। তাই আমাদের একটু বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন অজয়পুর হাইস্কুলের শিক্ষক ও জাতীয় বন্যজীব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাস। সাপ সম্পর্কিত আজকের এই পরামর্শগুলির ব্যবস্থাপনা করেছে ‘বীরভূম জেলা জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা সমিতি’।

সাপ কুসংস্কার ও বিজ্ঞান

সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু গ্রামবাংলার এক জ্বলন্ত সমস্যা। প্রতি বছর আমাদের রাজ্যে প্রায় তিন হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যান। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই মারা যান ওঝা গুনিনের কাছে যাবার জন্য। আমরাও প্রতিনিয়ত অহেতুক ভয়ে লক্ষ লক্ষ সাপ মেরে প্রকৃতির ভারসাম্য বিঘ্নিত করছি। তাই সাপ ও মানুষের এই মৃত্যু মিছিল বন্ধ করতে আমরা সবাই সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানি ও কুসংস্কার মুক্ত হই।

পশ্চিমবঙ্গে মাত্র চারটি সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু। যেগুলি গোখরো, কেউটে, কালাচ ও চন্দ্রবোড়া।

গোখরো বা খরিস

১. গােখরাে/খরিস (Spectacled Cobra) : বৈজ্ঞানিক নাম Naja naja। বিষের প্রকৃতি নিউরােটক্সিক। গড় দৈর্ঘ্য ৩.৫ ফুট, সর্বোচ্চ ৭ফুট ৩ ইঞ্চি। ফনার পিছুনে ‘U’ আকারের বিশেষ চিহ্ন আছে। গায়ের রং গমের ন্যায়, যা কমবেশি ঘন বা হালকা।

কেউটে বা আলান

২. কেউটে /আলান (Monocled Cobra) : বৈজ্ঞানিক নাম Naja kaouthia. বিষের প্রকৃতি নিউরােটক্সিক। গড় দৈর্ঘ্য ৪ ফুট, সর্বোচ্চ ৭ ফুট। ফনার পিছনে গােল চিহ্ন থাকে। গায়ের রং কালাে, বাদামী, জলপাই বা হালকা হলুদ।

কালাচ বা ডোমনাচিতি

৩. কালাচ /ডােমনাচিতি (Common Krait) : বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। বিষের প্রকৃতি নিউরােটক্সিক। গড় দৈর্ঘ্য ৩ ফুট।সর্বোচ্চ ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। গায়ের রং কালো বা কালচে বাদামী। সদ্য খােলস ছাড়া সাপের শরীর থেকে নীল আভা বের হয়। মাথার কিছুটা পিছন থেকে লেজ পর্যন্ত জোড়ায় জোড়ায় সাদা সরু ব্যান্ড থাকে।

চন্দ্রবোড়া

৪. চন্দ্রবোড়া (Russell’s Viper) : বৈজ্ঞানিক নাম Daboia russelii। বিষের প্রকৃতি হিমােটক্সিক। গড় দৈর্ঘ্য ৩ ফুট। সর্বোচ্চ ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। বেঁটে মােটা দেহ। মাথা তিলকোনা। গায়ের রং হালকা হলুদ বা শুকনাে কাঠের মতো। পিঠের উপরে ও পেটের দুদিকে গোল গোল চিহ্ন থাকে।

NB : একই প্রজাতির সাপ হলেও স্থান ভেদে দেহের রং ও বাসস্থানের বিভিন্নতার জন্য প্রতিটি সাপের একাধিক আঞ্চলিক নাম আছে।

শাঁখামুটি বা রাজসাপ

শাঁখামুটি বা রাজসাপ (Banded Krait) : বৈজ্ঞানিক লাম Bungarus fasciatus। এরা তীব্র বিষধর হলেও অত্যন্ত শান্ত। এরা কামড়ায় না। এদের প্রধান খাদ্য সাপ। এরা তীব্র বিষধর কালাচ সাপ খেয়ে কালাচের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এরা খুবই উপকারী সাপ।

গোখরা, কেউটের নিউরোটক্সিক বিষক্রিয়ার লক্ষণ

ক্ষত স্থানে ফোলা, জ্বালা, যন্ত্রণা, বমি বা বমি ভাব। আচ্ছন্ন ভাব, ঘুম পাওয়া, জিভ ভারী হওয়া, কথা জড়িয়ে আসা, নাকি সুরে কথা, পক্ষাঘাত (পা থেকে কোমর পর্যন্ত)। মাথা, চোখের পাতা ও নীচের ঠোঁট ঝুলে পড়া। লালা পড়া, শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনি। ঝাঁপসা দেখা, শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হওয়া।

চন্দ্রবোড়া হিমােটক্সিক বিষক্রিয়ার লক্ষণ

কামড়ানোর কিছুটা পর থেকে ক্ষতস্থান ধীরে ধীরে ভীষন ভাবে ফুলে ওঠে, ক্ষতস্থানে অসহ্য যন্ত্রনা (আগুনে পোড়ার মতাে), ক্ষত স্থান থেকে চুইয়ে রক্ত পড়া, ফোস্কা পড়া, দেহের সব ছিদ্র দিয়ে রক্ত ক্ষরণ, বৃক্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়া, দাঁতের মাড়ি ও পুরালাে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত ক্ষরণ।

সাপে কামড়ালে যা করা যাবে না

ওঝা গুণিনের কাছে না যাওয়া। রোগীকে আতঙ্কিত না করা। ক্ষত স্থানে কাটা ছেড়া না করা। গরম বা ঠান্ডা কোন প্রকার সেক না দেওয়া। বাঁধন না দেওয়া। রােগীকে নিয়ে কোনাে প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা না করা। রােগীকে মাদকদ্রব্য বাবহার না করতে দেওয়া। রোগীকে হাঁটা চলা করতে না দেওয়া। রোগীকে ঘুমাতে না দেওয়া। সাপ মেরে বা ধরে হাসপাতালে না আনা।

সাপে কামড়ালে যা করতে হবে

সময় নষ্ট না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। রােগীকে সাহস ও সান্ত্বনা দেওয়া। বমি এলে রােগীকে উপুড় করে শােয়াতে হবে। মুখের লালা পরিষ্কার করে দেওয়া। উপস্থিত সকলকে শান্ত করা। অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া গেলে রোগীকে মোটরবাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। হাসপাড়ালে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসককে গোটা বিষয়টি বলা।

সর্প দংশন এড়িয়ে চলার উপায়

রাতে পথ চলতে টর্চ ব্যবহার করা। বিছানা ঝেড়ে পাতা। মশারি ব্যবহার করা। মশারি বিছানায় নীচে গুঁজে দেওয়া। বাড়ির মেঝের ও দেওয়ালের গর্ত ফাটল বন্ধ করা। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বাড়িতে ব্লিচিং ও কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা। ভালো করে দেখে মুরগির ঘরে হাত দেওয়া। ঝোপঝাঁড়, বনজঙ্গলে বা পাকা ফসলের জমিতে সাবধানে কাজ করা।

সাপ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন

১. অনেক রোগী ওঝা গুণিনের কাছে কীভাবে সেরে ওঠে?

উত্তর: ৮৫% রোগী নির্বিষ সাপে কাটা, তাই তারা এমনিতেই সেরে ওঠেন।

২. বিষধর সাপে কাটা রোগীও ওঝার কাছে কীভাবে সেরে ওঠে?

উত্তর: বিষধর সাপে কামড়ালে সব ক্ষেত্র বিষ ঢালে না বা খুবই কম ঢালে। একে শুষ্ক দংশন বলে। এই কারণেই তারা সেরে ওঠেন। এখানে ওঝার কোনাে বাহাদুরি নেই।

৩. হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী মারা যায় কেন?

উত্তর: অধিকাংশ সাপে কাটা রোগী ওঝার ঘর হয়ে শেষ সময়ে হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না।

৪. সাপ না দেখে কিভাবে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা হবে?

উত্তর: চারটি বিষধর সাপের কামড়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটাই প্রধান ওষুধ মাল্টি AVS। তাই সাপ দেখার কোনাে প্রয়ােজন নেই।

৫. বিষধর সাপের কামড়ে AVS কী একমাত্র ওষুধ?

উত্তর: ফণাধর সাপের ক্ষেত্রে (গোখরো, কেউটে) দুটি সাহায্যকারী ওষুধ অ্যাট্রোপিন ও নিওস্টিগমিন ব্যবহার করা হয়। AVS র পার্শ প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য আড্রিনালিন ব্যবহার করা হয়।

৬. সব হাসপাতালে কী AVS থাকে?

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সদর হাসপাতালে, মহকুমা হাসপাতাল ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবশ্যই AVS মজুত থাকে।

৭. ভুল করে নির্বিষ সাপের কামড়ে AVS প্রয়ােগ করলে কী হবে?

উত্তর : এরকম ঘটনা ঘটে না। চিকিৎসকরা বিষধর সাপের কামড়ের লক্ষণ দেখে নিশ্চিত হয়েই AVS প্রয়োগ করেন।

৮. কোন সাপে কামড়েছে বােঝা যাইনি, সেক্ষেত্রে কী করণীয়?

উত্তর: সবাই সব সাপ চেনেন না বা কামড়ানোর সময় দেখা যায়নি বা সাপ গর্তে ঢুকে আছে বা পালিয়ে গেছে এমন হতেই পারে। তাই যে সাপই কামড়াক না কেন সময় নষ্ট না করে রােগীকে দ্রুত হাসাতালে নিয়ে যেতে হবে।

৯. সাপের কামড়ে বাঁধন দেওয়া কি ঠিক?

উত্তর : না। বাঁধন দিয়ে সাপের বিষ আটকানাে যায় না। বরং কষে বাঁধন দিলে ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে চন্দ্রবোড়ার ক্ষেত্রে বাঁধন মারাত্মক হতে পারে। এমনকি ক্ষতস্থানে গ্যাংগ্রিন হবার জন্য হাত পা কেটে বাদ দিতে হতে পারে।

১০. সাপের কামড়ের কতক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে?

উত্তর: এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে যেতে হবে। তবে একশাে মিনিটের মধ্যে পৌছালে চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। রাস্তায় যানজট বা যানবাহনের অভাব হলেও যতই দেরি হােক না কেন হাসপাতালে পৌঁছাতেই হবে।

১১. দাঁতের চিহ্ন দেখে কি বিষধর সাপের কামড় নিশ্চিত হওয়া যায়?

উত্তর : সবক্ষেত্রে না। কারণ সবক্ষেত্রে দুটি দাঁতের চিহ্ন নাও থাকতে পারে। অনেক সময় একটা দাঁতের চিহ্ন থাকে। কখনও দাঁতের চিহ্ন আঁচড়ের ন্যায় হয়। আবার কালাচের ক্ষেত্রে দাঁতের চিহ্ন বােঝা যায় না।

১২. ওঝা, গুণিনের কাছে যাওয়া উচিত নয় কেন?

উত্তর: মন্ত্রতন্ত্র, ঝাড়ফুঁক, গাছগাছড়া, বিষপাথর দিয়ে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা অসম্ভব। এখনও পর্যন্ত মানুষের দাবি করা প্রায় ২৫০ রকমের গাছগাছড়া সাপের বিষ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এদের কাছে যাওয়া উচিত নয়।

১৩. চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে AVS ঠিকমতো কাজ করছে না কেন?

উত্তর : বিষধর সাপের কামড়ের প্রতিষেধক মাল্টি AVS দক্ষিণ ভারত থেকে আমাদের রাজ্যে আনা হয়। মনে হয় দক্ষিণ ভারতের চন্দ্রবােড়ার বিষ ও পশ্চিমবঙ্গের চন্দ্রবোড়া বিষের প্রকৃতি ও উৎপাদন গত পার্থক্য হচ্ছে, যার ফলে হয়তো এই অসুবিধা হচ্ছে।

কালাচ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা

কালাচ বা ডোমনাচিতি

কালাচ (ডামনাচিতি) এক রহস্যময় সাপ। প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গে প্রায় এক হাজার মানুষ এদের কামড়ে মারা যান। যা তাদের পরিবারের লােকজনও জানতে পারেন না। কারণ এর কামড়ে ব্যথা, জ্বালা, ফোলা, যন্ত্রণা কিছুই হয় না। এমনকি দাঁতের চিহ্নও থাকে না। আবার বিষক্রিয়ার লক্ষণ দুই থেকে কুড়ি ঘন্টা পরে দেখা দিতে পারে। লক্ষণগুলি হল ভোর রাতে অসহ্য পেট ব্যথা, পিঠে, গাঁটে গাঁটে তীব্র যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, ঢোক গিলতে অসুবিধা, মাথাধরা, দূর্বলতা। এই সকল লক্ষণের সঙ্গে চোখের পাতা নেমে আসা কালাচের কামড়ের একমাত্র নিশ্চিত প্রমাণ। সম্ভবত কালাচ এশিয়া মহাদেশের স্থলভাগের তীব্র বিষধর সাপ। এদের এক মিলিগ্রাম বিষ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যুর পক্ষে যথেষ্ট। এরা গভীর রাতে খোলা বিছানায় ঢুকে মানুষকে কামড়ায়। তাই এদের হাত থেকে রেহাই পেতে রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে পাততে হবে। মশারি বিছানায় নীচে গুঁজে দিতে হবে।

সাপ সম্পর্কে কুসংস্কার মুক্ত হই

সাপ দুধ কলা খায় না। সাপের মাথায় মণি হয় না। সপি বাঁশির শব্দে নাচ না। সাপ প্রতিহিংসা পরায়ণ নয়। সাপ অন্য প্রাণীর আকার ধারণ করে না। মন্ত্র, গাছগাছড়া দিয়ে সাপ ধরা যায় না। দাঁড়াষ (ঢ্যামনা) সাপের লেজে বিষ থাকে না। দাঁড়াস (ঢ্যামনা) সাপ অন্য প্রজাতির সাপের সাথে প্রজনন করে না। নির্বিষ সাপ শনি ও মঙ্গলবারে বিষধর হয়ে ওঠে না। কালনাগিনী, লাউডগা এরা ক্ষীণ বিষ সাপ, এদের কামড়ে মানুষের কিছু হয় না। তুঁতুর (বােড়া চিতি) সাপে কামড়ালে কুষ্ঠ হয় না। তক্ষক ও গোসাপ (সােনাগোদা) সম্পূর্ণ নির্বিষ। সাপের শরীরে কখনো চুল বা পালক গজায় না। সাপের ছোবল খেয়ে কেউ নেশা করে না। বিষধর সাপের বিষদাঁত ভেঙ্গে কখনও নির্বিষ করা যায় না। সাপ কখনো তেড়ে আসে না। সাপ স্বপ্নের সাথে মঙ্গল অমঙ্গলের কোনো সম্পর্ক নেই। সাপ স্বপ্ন দেখলে পুত্র লাভ হয় – এটা ভুল ধারণা। গর্ভবতী মায়েদের সাপে কামড়ায় না – এটাও ভুল ধারণা। সাপ কখনো পোষ মানে না। বেজী (নেউল) সাপের বিষ প্রতিহত করতে কোনো গাছগাছড়া ব্যবহার করে না। সাপ গুপ্তধন পাহাড়া দেয় না। ফুলের গন্ধে সাপ আসে না।

কেন সাপ সংরক্ষণ দরকার

১. সাপ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে।

২. সাপ ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকার ফসল ও সম্পদ রক্ষা করে।

৩. সাপের বিষ থেকে হিমোফিলিয়া, ক্যান্সার, কুষ্ঠ, বাত ও অন্যান্য অসংখ্য রোগের ওষুধ তৈরি হয়।

৪. সাপের বিষ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।

৫. বিষধর সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় একমাত্র ওষুধ AVS যা সাপের বিষ থেকে তৈরি হয়।

৬. সাপের বিষ বিজ্ঞানের গবেষণায় এক অমূল্য সম্পদ।

৭. সাপ ইঁদুর বাহিত রোগ ছড়াতে বাধা দেয়।

অনেকটা একই রকম দেখতে কালাচ বা ডোমনা চিতি ও ঘরচিতি সাপের পার্থক্য

কালাচ বা ডোমনাচিতি

কালাচ বা ডোমনা চিতি : এই সাপ তীব্র বিষধর। দেহের রঙ কালো বা কালচে বাদামী। এদের মাথা আঙ্গুলের ডগার ন্যায় গোলাকার। মাথার বেশ কিছুটা পর থেকে সরু সাদা ব্যান্ড শুরু হয়। এদের ক্ষেত্রে ব্যান্ড লেজের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত থাকে। এদের ক্ষেত্রে জিভ টকটকে লাল রঙের হয়। এরা খাড়া দেওয়ালে চাপতে পারে না।

ঘরচিতি সাপ

ঘরচিতি : কালাচের মত দেখতে হলেও এই সাপ সম্পূর্ণ নির্বিষ। দেহের রং হালকা বাদামি অথবা পোড়া ইটের মত হয়। এদের মাথা চ্যাপ্টা। কালাচের তুলনায় অপেক্ষাকৃত চওড়া ব্যান্ড ঘাড়ের কাছ থেকে শুরু হয়। এদের ক্ষেত্রে ব্যান্ড লেজের দিকে থাকে না। এদের জিভ হালকা গোলাপি রঙের হয়। এরা খাড়া দেওয়ালে চাপতে পারে।

চন্দ্রবোড়া ও তুঁতুর সাপের পার্থক্য

তুঁতুর বা বোড়াচিতি সাপ

চন্দ্রবোড়া সাপ বিষধর আর তুঁতুর সাপ সম্পূর্ণ নির্বিষ।