করোনা প্রতিরোধে টিকা আবিষ্কারে কে কতটা এগোলো, দেখে নিন তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় সারা বিশ্ব। চীনের উহান অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রথম সন্ধান মেলে আট মাস আগে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশ করোনা মহামারীর প্রকোপে বিপর্যস্ত। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোতে। এই বিপর্যয় সামলাতে ভ্যাকসিন ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাহলে এখন এই ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কে কতটা এগোলো বা কোন জায়গায় রয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণাগারে চলছে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। দাবি করা হচ্ছে ভ্যাকসিন তৈরিতে সফলতা মিলেছে বেশ কিছু গবেষণা সংস্থার।

১) এই মুহুর্তে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের মানবদেহে তৃতীয় ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পরীক্ষা সফল হলে টিকা দ্রুত বাজারে আসবে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা আরএনএ প্রযুক্তির উপর ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালাচ্ছে।

২) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের টিকা বানাতে ১৪৩টি উদ্যোগ চালু আছে। তারমধ্যে ১৬টির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি ১২৫টি টিকার গবেষণা প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আছে।

৩) আমেরিকার ‘মডার্না আইইনসি’র’ তৈরি এমআরএন-১২৭৩ ভ্যাকসিনও সাফল্যের দৌড়গড়ায় আছে। আগামী মাসে শুরু হবে এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা। এই সংস্থার এমআরএন ১২৩৩ ভ্যাকসিনও আশার আলো দেখাচ্ছে বলে সংস্থার মত।

৪) চীনে মোট ৮ টি ভ্যাকসিন মানব শরীরে পরীক্ষার জন্য অনুমতি পেয়েছে। চীন ও চীনের বাইরে ভ্যাকসিনগুলো পরীক্ষা চালানোর পর অ্যাড৫-এনকোভ নামের ভ্যাকসিন নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ায় পরীক্ষার জন্য চীনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

৫) এই একই ভ্যাকসিন কানাডাতেও মানব শরীরে প্রয়োগের জন্য অনুমতি পেয়েছে।
সিঙ্গাপুরের ডিউক-এন ইউএস মেডিকেল স্কুলের গবেষকদের তৈরি ভ্যাকসিন ভাইরাস প্রতিরোধে ও নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে বলে আশাবাদী ওই সংস্থা। আগষ্ট মাসে শুরু হবে এর পরীক্ষা।

৬) ফরাসি ‘সানোফির’ সংস্থা জানিয়েছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের অগ্ৰগতি আশানুরূপ।

৭) আমেরিকার ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক এই দুই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার বিএনটি-১৬২ ভ্যাকসিন প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে।

৮) ভারতের বায়োটেক সংস্থার ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে। দেশ খুব দ্রুত ভ্যাকসিন পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংস্থার সদস্যরা।

৯) ভারতের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হিসাবে অনুমোদন পেয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা।

১০) সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তাঁরা মোর চার ধরনের প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছে।

১১) এছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এস্ট্রোজেন কার করোনা ভ্যাকসিনেশন সঙ্গে কাজ করছে। তারা ৬ মাসের মধ্যে তাদের ভ্যাকসিন বাজার আনতে তাঁরা তারা সক্ষম হবে।

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এই গবেষণায় দ্রুত সাফল্য মিলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।