১০০ টাকার পুরাতন নোটে কেন থাকে পাহাড়ের ছবি! রয়েছে অবাক করা কারণ

ভারতীয় ইতিহাস সব সময় বেশ আকর্ষণীয় ও রহস্যময়। তার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলো ভারতীয় মুদ্রার ইতিহাস, যা অনেক পুরোনো। আর দেশের ইতিহাসের যেকোনো বিষয়ে জানার কৌতুহল থাকে অনেকের। আর এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নিন ১০০ টাকার পুরানো নোটের পিছনে সামনে গান্ধীজির ছবি থাকলেও কোন কারণে এতে পাহাড়ের ছবি থাকে।

এই নোটটি ছাপতে খরচ হয়েছে হয় মাত্র ১.২০ টাকা এবং আর এই মূল্যের ১৬,০০০ মিলিয়ন নোট বর্তমান বাজারে প্রচলিত রয়েছে। আর প্রতিটি নোটেরই সামনের দিকে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর ছবি, অশোক প্রতীক। আর এই নোটগুলির পিছনের দিকে রয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ পর্বত ‘মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা’-এর ছবি। এই ছবিটি সিকিমের পেলিং থেকে তোলা হয়েছে। আর সিকিম এবং দার্জিলিংয়ের স্থানীয় লোকেরা এই পর্বতশৃঙ্গকে খুব পবিত্র মনে করে পূজা করে। সেই কারণেই নাকি ১০০ টাকার পুরোনো নোটে এই ছবি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাজারে নতুন ও একটু ছোট ও বেগুনী রঙের ১০০ টাকার নোট দেখা যায়। তবে বাজারে তার সঙ্গে পুরোনো বড় নোটও ব্যবহার হয় সমান তালে। সেই নোটগুলির পেছনেই আমরা দেখতে পাই বরফাবৃত পর্বতশঙ্গ। এই নোটের বাকি বৈশিষ্ট্য অন্যান্য ভারতীয় নোটের মত একই। এই ১০০ টাকার নোটেও ১৭টি ভাষায় লেখা আছে। উল্টোদিকে পাহাড়ের পাশাপাশি ইংরেজি ও হিন্দিতে লেখা আছে।

বিপরীতে একটি ভাষার প্যানেল রয়েছে, যা ভারতের ২২টি সরকারী ভাষার মধ্যে পনেরোটি নোটটির মূল্যবোধ প্রদর্শন করে। ভাষাগুলি বর্ণানুক্রমিকভাবে প্রদর্শিত হয়। প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত ভাষাগুলি হল অসমীয়া, বাংলা, গুজরাটি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কোঙ্কনি, মালয়ালম, মারাঠি, নেপালি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সংস্কৃত, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু।

১০০ টাকার ভারতীয় নোটের পিছনে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি দেখা যায়। আর এই কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের চূড়াটি হলো ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এই ছবিটি সিকিমের পেলিং থেকে তোলা। সিকিম এবং দার্জিলিংয়ের স্থানীয় লোকেরা একে পবিত্র মনে করে পূজা করে। সেই কারণেই ১০০ টাকার পুরোনো নোটে এই ছবি ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশের মতই ভারতীয় মুদ্রার ইতিহাসও অনেক প্রাচীন। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে টাকার ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান ভারতীয় টাকাতেও অনেক বিষয় রয়েছে যা অনেকের কাছেই অজানা।