‘৫ বছরেরই সোনার বাংলা’, বোলপুরের রোড শো থেকে বার্তা অমিত শাহের

নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিবার বোলপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর রোড শো চলাকালীন ‘জনপ্লাবন’ নামে। আর এই জনপ্লাবনের কথা শোনা যায় অমিত শাহের মুখ থেকেই। অমিত শাহের রোড শো যখন বোলপুরের চৌরাস্তা এসে পৌঁছায়, তখন তিনি মাইক ধরে বলেন, “অনেক জায়গায় রোড শো করেছি। কিন্তু এমন জনপ্লাবন দেখিনি। এই জনপ্লাবন মমতা দিদির প্রতি মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন।”

অনুব্রত গড়ে রবিবারের এই অমিত শাহের রোড শো নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও সামনে না এলেও যেন ভোটের দাদামা বাজিয়ে গেল। মেদিনীপুরের জনসভার পর অনুব্রত গড়ে অমিত শাহের মেগা রোড শো-কে কেন্দ্র করেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি অমিত শাহকে এদিন চাক্ষুষ করার জন্য রাস্তার দু’ধারে জনজোয়ার নামে। আর এই রোড শো চলাকালীন অমিত শাহকে স্বাগত জানানোর জন্য বহু মানুষকে ফুল ছুঁড়তে দেখা যায়। আর সেই ফুলের টুকরো পাল্টা ছুঁড়তেও দেখা যায় অমিত শাহকে। আর এতেই উৎসাহিত জনতা আরও আপ্লুত হয়ে পড়েন।

রোড শো শেষে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি থাকাকালীন আমি অনেক রোড শো দেখেছি, করেছি এবং আয়োজন করিয়েছি। কিন্তু আজকের মত রোড শো আমি জীবনে দেখিনি। এই যে রোড শো দেখা যাচ্ছে তা সাধারণ মানুষের মোদিজীর প্রতি ভালোবাসা এবং ভরসা। এই রোড শো বলছে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছেন।”

তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর কংগ্রেস তিন দশকের বেশি সময় শাসন করেছে বাংলা। তিন দশকের বেশি সময় বাংলার সিংহাসনে বসেছিল কমিউনিস্টরা। আর দশ বছরের সময় পেয়েছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু সত্যিই কি বাংলার উন্নয়ন হয়েছে? সত্যিই কি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া গেছে? যায় নি। বাংলার মানুষ মমতা দিদির প্রতি ক্ষুব্ধ। আপনারা নরেন্দ্র মোদিকে একবার সুযোগ দিন। ৫ বছরের মধ্যে সোনার বাংলা গড়ে দেবো।”

উল্লেখ্য, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলের সাথে বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে তা অনিবার্য। শাসক দল যেমন বাংলার সিংহাসন ধরে রাখতে ব্যস্ত, ঠিক তেমনই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবিরও। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমাসেই রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডার সভা অথবা শোভাযাত্রা থাকবে। পাশাপাশি বিশেষ সূত্রে এটাও জানা গিয়েছে যে হয়তো আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই বাংলায় পা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।