Rail Station Modification : দেশজুড়ে রেলস্টেশনগুলি হাল ফেরাতে বড় উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতীয় রেল দেশের এক হাজারের বেশি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হবে। ঝা চকচকে স্টেশন ভবন থেকে যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক পরিষেবা, সমস্ত কিছুই পাওয়া যাবে নবনির্মিত স্টেশন গুলিতে। তার জন্য প্রচুর টাকার বরাদ্দ করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। ভারতীয় রেল অমৃত ভারত প্রকল্পে দেশের ১২৭৫টি স্টেশন নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চাইছে।
প্রতিদিন গড়ে ১.৮ কোটি লোক ভারতীয় রেলের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। তাই বিপুল সংখ্যকে এই যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে, রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, নতুন এই প্রকল্পে যাত্রীদের খাবার পরিবেশন এর কথা মাথায় রাখতে চাইছে রেল।
জানা গিয়েছে, বৈঠকের পরে একটি সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যাত্রীদের খাবার পরিবেশন এর জন্য বড় বড় দোকান তৈরি করা হবে। যেখানে সুলভ মূল্যে খাবার পাবেন যাত্রীরা। খাবারের গুণগতমান বজায় রাখার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে যাত্রীদের খাবার পরিবেশন এর কথা ভাবা হচ্ছে। বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে জৈনদের খাবার পরিবেশন এর দিকে। এছাড়াও স্টেশনে থাকবে ফুড প্লাজা, রিফ্রেশমেন্ট রুম। ভারতের নানা স্টেশনে ৯৩৪২টি ছোট খাবারের দোকান ও ৫৮২টি বড় খাবারের দোকান তৈরি হবে।
স্টেশনের এই দোকানগুলিতে কী ধরনের খাবার পাওয়া যাবে, সেই মেনু ঠিক করার ভার দেওয়া হয়েছে আইআরসিটিসিকে। স্টেশনের মেনুতে যেন দেশের নানা প্রান্তের খাবার পাওয়া যায় সেদিকে নজর রাখা হবে। এছাড়াও সবধরনের যাত্রীদের জন্যই উপযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এই দোকানগুলিতে। জানা গিয়েছে, অনলাইনেই রেলের এই দোকানে খাবারের দাম মেটানো যাবে। মাঝে মাঝেই দোকানগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণও করবেন রেল আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের রানি কমলাপতি, গুজরাটের গান্ধীনগর ও কর্ণাটকের এম বিশ্বেশ্বরাইয়া- এই তিনটি স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই দেশজুড়ে নানা স্টেশনকে নতুন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম নিয়ে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এছাড়াও বেশ কয়েকজন সাংসদও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন।