ত্রিপুরার পর আসানসোল, বিজেপির প্রচারে বাজলো বাবুলের ‘এই তৃণমূল আর না’

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় প্রাক্তন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কয়েক মাস আগেই। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে থাকাকালীন উপহার দিয়েছিলেন একটি থিম সং। যে গান এখনো রয়েছে জনপ্রিয়তার শিখরে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও বাবুলের সেই গান আজও বাজতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির ভোট প্রচারে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া ত্রিপুরার পৌরনির্বাচন বাবুল সুপ্রিয়র সেই গান ‘এই তৃণমূল আর না’ বাজতে লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেবার আবার তা বেজেছিল একেবারে তৃণমূলের হয়ে বাবুলের সভার পাশেই। এবার সেই গান বাজলো আসানসোল পৌর নির্বাচনে বিজেপির প্রচারে। আসানসোল পৌর নির্বাচনে বিজেপির প্রচার এই গান ‘এই তৃণমূল আর না’ বাজানো হচ্ছে মূলত তৃণমূলকে বিব্রত করতে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

আসানসোল পৌরসভা নির্বাচনের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তারকনাথ ধীবরের হয়ে প্রচার করতে আসেন বাঁকুড়া শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী। টোটোয় চেপে বিজেপির বিধায়ক এবং ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রচারের সময় বাবুল সুপ্রিয়র এই গানটিকে বাজিয়েই এলাকায় প্রচার করতে লক্ষ্য করা যায়। এর পাশাপাশি রানীগঞ্জে প্রচারের সময়ও এই গান এক দু’জায়গায় বাজতে শোনা যায়।

বাঁকুড়া শালতোড়াট বিধায়ক চন্দনা বাউরী এদিন যে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে করতে আসেন অর্থাৎ তারকনাথ ধীবর তিনিও অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তিনি পেশায় একজন টোটো চালক। গত বিধানসভা নির্বাচনে দরিদ্র পরিবার থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে চন্দনা বাউরি জয় অর্জন করেছিলেন। সেই পথে হেঁটেই এবার তারকনাথ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। তারকনাথের এই প্রচারেই এবার দেখা গেল রাজ্যের দরিদ্র বিধায়ক চন্দনা বাউরীকে।

অন্যদিকে বিজেপির এই প্রচারে সদ্য তৃণমূল যাওয়া বাবুল সুপ্রিয়র ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি, ভাইয়েরা সব কোটিপতি।…এই তৃণমূল আর না’ বাজানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে চলে গেলেও গানের বিষয়বস্তু এবং সমস্যা সব একই রয়ে গেছে। যে কারণে এই গান তাদের বাজাতে কোন সমস্যা নেই। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, এই গান বাজার কারণে তাদের বিব্রত হওয়ারও কোনো বিষয় নেই। তাদের দাবি, গান বাজিয়ে ভোট হয় না। ভোট হয় উন্নয়ন আর কাজের নিরিখে।