ছাগলের পেটে অদ্ভুত বাচ্চা, প্রসব হতেই শোরগোল এলাকা জুড়ে

দীপক কুমার দাস : বীরভূমের মহঃবাজার থানা এলাকার আঙ্গারগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজ্যধরপুর গ্রামে একটি ছাগলের অস্বাভাবিক বাচ্চা প্রসবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ছাগলের বাচ্চাটির মাথার দিকটা অনেকটা মানুষের মতো এবং পা ও বাকি অংশ ছাগলের মত। যা দেখে এলাকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের মিহির বাগদির বাড়িতে। ঘটনার পর ওই ছাগলের বাচ্চাটিকে দেখার জন্য এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে জড়ো হন মিহির বাবুর বাড়িতে। প্রসঙ্গত ছাগলের বাচ্চা প্রসব হওয়ার পরই বাচ্চাটি মারা যায়, তারপর বাড়ির লোকজন স্থানীয় পশু হাসপাতালে ওই বাচ্চাটিকে নিয়ে গিয়ে দেখানোর পর সৎকার করে দেন।

কিন্তু এভাবে অস্বাভাবিক ছাগলের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে যে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেয় তা নিয়ে এলাকায় শোরগোল সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের প্রতিনিধি পৌঁছে যায় ওই ছাগলের মালিকের বাড়িতে। বাড়িতে গিয়ে মিহির বাগদি এবং তার স্ত্রী নিয়তি বাগদি একই কথা তুলে ধরেন আমাদের প্রতিনিধির সামনে। এমনকি তারা ওই ঘটনার ভিডিওগ্রাফি তুলে ধরেন আমাদের প্রতিনিধির কাছে।

তারা দুজনেই জানান, “এর আগেও ছাগলটি অনেকবার বাচ্চা প্রসব করেছে কিন্তু কখনো এমনটা ঘটতে দেখা যায়নি। এবারই প্রথম এমন অস্বাভাবিক বাচ্চা প্রসব করলো ছাগলটি।”

এমন ঘটনার পর এলাকায় মানুষেরা ছাগলের মিলন প্রসঙ্গিত নানান প্রশ্ন উঠলে থাকলে আমাদের প্রতিনিধি আবার পৌঁছে যান বিশেষজ্ঞের কাছে। সেখানে গিয়ে জানা যায় ঘটনার আসল সত্যতা।

মহঃবাজার ভেটেনারী অফিসার ডাঃ সুমন বেপারী জানান, “যে বাচ্চাটা হয়েছে সেটির মানুষের মতো মুখ বলাটা ভুল হবে, তবে ছাগলের মুখ যেমনটা হওয়া উচিত এমনটা হয়নি। তবে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কোন কিছু নয়। হয়তো ছাগলটি যখন গর্ভবতী ছিল তখন ধাক্কাতে ভেতরের ফিটাসটি নষ্ট হয়েছে অথবা বিজ্ঞানের ভাষায় যেটিকে বলে জায়গনস্টিক ফিটাস। অর্থাৎ ফিটাসটি বড় হয়ে যাবে, স্বাভাবিকের মত আকার আকৃতি কিছু থাকবে না।”