নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিনিয়ত বিশ্বে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিতদের সংখ্যা। ভারতেও প্রতিদিন বাড়ছে সংখ্যাটা। এদিন শেষ রিপোর্ট পাওয়া অব্দি ভারতে সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা ২১৭০০, আর মৃতের সংখ্যা ৬৮৬।পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রামিতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৬, মৃত ১৫। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা এই পরিসংখ্যান দেখে স্বাভাবিকভাবেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন দেশের কোটি কোটি মানুষ।
তবে এমন সংকটের মাঝেই ভারতীয়দের কাছে দুর্দান্ত স্বস্তির খবর দিল আরও একটি রাজ্য। যে রাজ্যকে করোনা মুক্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করে দিলেন তাদের মুখ্যমন্ত্রীরা। এর আগেও দেশের আরও তিনটি রাজ্য করোনা মুক্ত হয়েছে, যেগুলি হলো গোয়া, মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ। আর এবার ত্রিপুরা। এমন সফলতা এসেছে কেবলমাত্র লকডাউনের জন্যই বলেই জানিয়েছেন তারা। দেশে পর পর করোনা মুক্ত হওয়া এই চার রাজ্যের সফলতা আত্মবিশ্বাস ফেরাতে চলেছে অন্যান্য রাজ্যগুলিকে ও ভারতীয়দের। এপ্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ভারতে আরও ৫ টি এমন জায়গা রয়েছে যেখানে করোনা থাবা বাসাতেই পারেনি। সেগুলি হলো দমন ও দিউ, লাক্ষাদ্বীপ, দাদরা ও নগর হাবেলি, সিকিম ও নাগাল্যান্ড।
ভারতে প্রথম করোনা মুক্ত রাজ্য হয় গোয়া। গোয়ায় মোট ৭ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর তারা সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে এই রাজ্যে আর সংক্রমণ নেই। গত ৩রা এপ্রিল থেকে নতুন করে আর কারোর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তাই এই রাজ্য বর্তমানে করোনা মুক্ত, ভারতে প্রথম এই রাজ্য এই শিরোপার অধিকারী হয়।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রমোদ সাওয়ান্ত ট্যুইট করে জানিয়েছেন, গোয়ার জন্য সন্তুষ্টি ও স্বস্তির মুহূর্ত এই যে সমস্ত অ্যাক্টিভ করোনা এখন নিষ্ক্রিয় হয়েছে। আর এমন সফলতা এসেছে সমস্ত চিকিৎসক ও অন্যান্যদের সমবেত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে। ৩ এপ্রিলের পর থেকে রাজ্যে আর কোন করোনা পজিটিভ কেস আসেনি।”
A moment of satisfaction and relief for Goa as the last active Covid-19 case tests negative. Team of Doctors and entire support staff deserves applause for their relentless effort. No new positive case in Goa after 3rd April 2020.#GoaFightsCOVID19 @narendramodi
— Dr. Pramod Sawant (@DrPramodPSawant) April 19, 2020
এরপর গোয়ার মতোই করোনা মুক্ত হয় মনিপুর। এই রাজ্যে মোট দুজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তাদের দুজনই আজ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এরপর আর নতুন করে কোনো রকম সংক্রমণ নেই রাজ্যে। মনিপুরের এই সফলতা এসেছে সঠিকভাবে সরকারি নির্দেশিকা পালনের ফলে, সঠিকভাবে লকডাউনের বিধি মেনে চলার জন্য।
আর মণিপুরে এমন সফলতা আসার পর সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের রাজ্য করোনা মুক্ত হয়ে গেছে। এই কাজ একমাত্র সম্ভব হয়েছে লকডাউনে মানুষের অসম্ভব সাহায্য ও চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে।”
I am glad to share that Manipur is now Corona free.Both patients hv fully recovered and have tested negative.There are no fresh cases of the virus in the state.This has been possible because of cooperation of public &medical staff and strict enforcement of lockdown @PMOIndia
— N.Biren Singh (@NBirenSingh) April 19, 2020
এরপর অরুণাচল প্রদেশ, আর তারপর চতুর্থ রাজ্য হিসাবে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা রাজ্যে মোট ২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। বর্তমানে এই দুজনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এই রাজ্য করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করলো। তবে এখনই রাজ্যে শিথিলতা নিয়ে কোনো বার্তা নেই। বরং তারা রাজ্যকে করোনা মুক্ত রাখার প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলেছে।
Tripura has become #Coronavirus free after the recovery of the 2nd case. Two cases were recorded in the state, the first case had recovered earlier and the second patient has also been discharged after testing negative in repeat tests: Chief Minister Biplab Kumar Deb (23.04.2020) pic.twitter.com/OF7uutG9NT
— ANI (@ANI) April 23, 2020
আর এরপরেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানান, “ত্রিপুরা এখন করোনা মুক্ত রাজ্য। দ্বিতীয় কেস ধরা পড়ার পরও আমরা করোনা মুক্ত হতে পেরেছি। প্রথমজন আগেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আর দ্বিতীয়জন বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।”
माँ त्रिपुरसुंदरी जी के आशीर्वाद से तथा माननीय प्रधानमंत्री @narendramodi जी के दिखाए मार्ग से प्रेरित होकर, हमारा अपना त्रिपुरा आज कोरोना मुक्त हो गया है। आशा है कि जल्द ही पूरा भारत और फिर पूरा विश्व इस वैश्विक महामारी से मुक्त होगा।
जय हिंद। pic.twitter.com/l3wHEmRlqd
— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) April 23, 2020
এছাড়াও তিনি জানান, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে পথ দেখিয়েছিলেন সেই পথে ত্রিপুরার বাসিন্দারা লকডাউনকে মেনে আজ এমন সফলতা পেয়েছেন। নিয়ম শৃঙ্খলা মানলে আমরা করোনাকে আটকাতে পারি। ত্রিপুরার সমস্ত বাসিন্দাকে ধন্যবাদ নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আগামী ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন জারি থাকবে। আর এই যুদ্ধে জয়ের জন্য ত্রিপুরার প্রত্যেক স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রশাসনিক কর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।”