‘উপাচার্যের পাগলামিটা ছাড়াতে হবে’, অনুব্রত মণ্ডল

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি বীরভূমের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীকে ঘিরে বর্তমানে তৈরি হচ্ছে নানান বিতর্ক। আর এই সকল বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। তিনি একাধিকবার আক্রমণ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। এবারও সেই ঘটনারই ব্যতিক্রম হল না, তিনি সরাসরি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পাগল ভিসি বলে তার ‘পাগলামিটা ছাড়াতে’ হবে বলে জানালেন।

বুধবার বিশ্বভারতীর বেশ কয়েকজন অধ্যাপক বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন। বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। আর এই বৈঠক শেষেই অনুব্রত মণ্ডল জানান, বিশ্বভারতীর অধ্যাপকরা উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করবে। আর সেই বাড়ি ঘেরাওয়ের সময় সঙ্গ দেবে তৃণমূল। টানা তিন দিন ধরে বাড়ি ঘেরাও হবে।

অনুব্রত মণ্ডল এদিন বলেন, “বিশ্বভারতীর স্টাফরা এলো। ভিসি যা মন তাই করছে। তা আমরা ইমিডিয়েটলি ঠিক করেছি, বিশ্বভারতীর স্টাফরা ঘেরাও করবে ভিসিকে বাড়িতে। তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস আমরা পুরো সাপোর্ট করবো। দু তারিখের পর ঘেরাও করবে। একনাগাড়ে তিনদিন ঘেরাও করা হবে। ও পারলে আটকাবে।”

এর সাথে সাথেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “উনি যেভাবে আরম্ভ করেছেন। বিশ্বভারতী বন্ধ রেখে জঞ্জালে ভর্তি হয়ে গেছে। কোন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নাই। উনি যা মন তাই করছেন। পাগলামিটা ছাড়াতে হবে। পাগল ভিসি তো। কী করে ছাড়াতে হয় আমরা জানি।”

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সাথে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সংঘাত আজকের নতুন নয়। তবে এই সংঘাত সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, দিন কয়েক আগে যখন বিশ্বভারতীতে আসেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। যেদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বিশ্বভারতীতে আসেন সেদিন তার সাথে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। এই ঘটনার পরেই অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি বিশ্বভারতীতে রাজনৈতিক মিটিং মিছিল করার হুঁশিয়ারি দেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাখি পূর্ণিমার দিন বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে তৃণমূলের রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। আর এই সংঘাতে এবার নতুন বিতর্ক বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের একাংশের সাথে অনুব্রত মণ্ডলের বৈঠকের।