‘অনুব্রত মণ্ডলের নামে এফআইআর করতে সবাই ভয় পায়, আমি করে দেখিয়েছি’, অভিযোগকারী

লাল্টু : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে দুবরাজপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বালিজুরি পঞ্চায়েতের প্রথম তৃণমূল থেকে জয়ী হয়ে আসা প্রধান শিব ঠাকুর মন্ডল। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩২৩, ৩২৫ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলবার তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে পুলিশ ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চায়, যদিও আদালতের তরফ থেকে ৭ দিনের পুলিশের হেফাজত দেওয়া হয়।

পুলিশি হেফাজত দেওয়ার পর অভিযোগকারী ব্যক্তি শিব ঠাকুর মন্ডল জানিয়েছেন, তিনি হলেন বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সমর্থিত প্রথম পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু অন্যান্যরা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে তার নামে নালিশ জানিয়ে তাকে সরে যেতে বাধ্য করেন। যদিও পড়ে তিনি ছয় মাসের জন্য প্রধান হন। এরপর টার্ম শেষ হয়ে গেলে প্রধান পদ মহিলা হয় এবং তিনি পাঁচটি টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু দল তার দাবি মেনে না নেওয়ায় তিনি দল থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নেন।

এরপর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডল দুবরাজপুর দলীয় কার্যালয়ে শিব ঠাকুর মন্ডলকে ডেকে পাঠান এবং দল থেকে সরে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন। সেই সময় তিনি দল থেকে কেবলমাত্র বঞ্চনা ইত্যাদি পেয়েছেন এমন জানালে অনুব্রত মণ্ডল নাকি রেগে যান এবং তাকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেন। শিব ঠাকুর মন্ডল জানিয়েছেন, এরপর থেকেই তিনি সুযোগ খুঁজছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার। এরপরই সোমবার রাত্রি ১০টায় তিনি দুবরাজপুর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।

তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে দুবরাজপুর আদালতে আনা হয় এবং আদালতে পেশ করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চায়। যদিও পুলিশের সেই আবেদনে অনুব্রত মণ্ডলের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের নির্দেশের পর অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর থানায় আনা হয় এবং সেখানে তাকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয়েছে। এমনকি যাতে সমস্ত কিছু নজরে রাখা যায় তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা সহ অন্যান্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে শিব ঠাকুর মন্ডল জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ দায়ের করতে পেরে খুশি। কারণ অন্যান্যরা তো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সাহস পান না।