অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ আয়কর দপ্তরের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠালো আয়কর দপ্তর। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও তার আত্মীয় আরও চারজনকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। বীরভূম ছাড়াও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোলে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি রয়েছে এমনটাই দাবি করা হয়েছে আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিন আগে অনুব্রত মন্ডলের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় আয়কর দপ্তরে। যেখানে বলা হয় বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা বীরভূম, আসানসোল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় নিজের আত্মীয়দের নামে বেনামী সম্পত্তি তৈরি করে রেখেছেন। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর দপ্তরের ১৩১ নম্বর অ্যাক্ট ধারায় অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

যেখানে অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়েছে। যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে আই টি রিটার্ন, কোথায় কোথায় সম্পত্তি রয়েছে। আর এই সমস্ত হিসেব আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এবং তার আত্মীয়দের দিতে হবে।

গত দু’দিন আগে ২১ তারিখ বীরভুমের বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলী অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তার দুই নিরাপত্তারক্ষীর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সাংবাদিক বৈঠক করে অনির্বাণ গাঙ্গুলী অভিযোগ করেছিলেন, “প্রাথমিক নিয়োগের টাকা নিরাপত্তারক্ষীদের হাত ধরে লেনদেন হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের সিকিউরিটি চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় ও সাইগেল হোসেনের এত সম্পত্তি কীভাবে? প্রাথমিক নিয়োগের টাকাও নিরাপত্তারক্ষীর হাত ধরে লেনদেন হয়েছে। ২ মে-র পর এসআইটি গঠন করে তদন্ত হবে।”

আর এই অভিযোগের পরই অনুব্রত মন্ডলকে এমন আয়কর দপ্তরের নোটিশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই নোটিশের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের থেকে কোন রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।