নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল বীরভূমে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা করার জন্য একাধিক নিদান দিয়ে গেছেন। আর এই সকল নিদানের পাল্টা দেবেন অনুব্রত মণ্ডল এটাতো জানাই ছিল। সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা দিতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপিকে সতর্ক করলেন।
গতকাল সিউড়িতে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘কেস যখন খেতেই হবে তখন মার দিয়েই কেস খাওয়া ভালো।’ এর পাশাপাশি তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিউটনের তৃতীয় সূত্র তুলে ধরেন। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত ক্রিয়া আছে। সময় কারো সমান যায় না। সুতরাং সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেই নিউটনের সূত্র প্রয়োগ হবে।’
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি শুক্রবার তারাপীঠে তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার বেশিদিন চলবে না। শেষ পর্যন্ত প্যাঁচার ভান্ডার চালু না হয়।
শুক্রবার সুকান্ত মজুমদারের এই সকল মন্তব্যের পাল্টা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। লাভপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী শেষে এর পাল্টা দিতে দেখা যায়। পাল্টা দিতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল প্রথমেই বলেন, “এক ভেড়া ছিল, এক ছাগল এসেছে। ভেড়া আর ছাগলের বুদ্ধি কি আর হবে! যেমন ছাগল তেমন ভেড়া। রাজ্যে আগে যে প্রেসিডেন্ট ছিল সে ভেড়া, এখন যে রাজ্যের প্রেসিডেন্ট সে ছাগল। আরও অনেক কিছু হবে। কাটোয়ায় ভেড়া আর ছাগল গিয়েছে, সাধারণ মানুষ মানবে কেন?”
এর পরেই তিনি ‘মেরে কেস খাওয়ার’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “মারতে গেলে তো হাতে করে মারতে হবে, না হয় লাঠি নিয়ে মারতে হবে। যদি কব্জিটা ভেঙে যায়! তার আগে যদি কব্জিটা ভেঙ্গে যায়! কেমন হবে? কি করে মারবে? তার হাতের কব্জিতে যদি ভেঙ্গে যায়! এক হাতে করে মারতে হবে, না হয় লাঠি করে মারতে হবে।”