“সাংবাদিকরা বোম রেখে খবর করতে পারে” অনুব্রত মণ্ডল

চন্দন কর্মকার : শনিবার বীরভূমের সাঁইথিয়া পৌরসভার উদ্যোগে সাঁইথিয়াতে উদ্বোধন হলো জয় হিন্দ বাস টার্মিনাল। উদ্বোধন করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা, মলয় মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত প্রমুখেরা।

সাঁইথিয়া বাসস্ট্যান্ডে মোট ১৩০ টি রুমের ব্যবস্থা সহ বাসস্ট্যান্ডের শুভ উদ্বোধন হলো। এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডল বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তার গলায় শুনতে পাওয়া যায় মমতা ব্যানার্জির মত এনআরসি করতে না দেওয়ার প্রসঙ্গ।

এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাড়িতে বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ওতো ফাঁকা বাড়ি, লোক নাই, জন নাই, কেউ থাকেনা।” এর পরেই এক সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বোমটা তো তুমিও ভরে দিয়ে আসতে পারো নিউজ করার জন্য। সাংবাদিকরা করতে পারে, সাংবাদিকদের কাছে নিউজ নাই। ফাঁকা বাড়িতে বোমটা ভরে দিয়ে আসতে পারে।”

এরপর এই প্রশ্ন ওঠে বারবার তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাড়িতে বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন? সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “হাইলাইট হবে, লাভ হবে তোমার চ্যানেলে।”

এছাড়াও তিনি বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের বিষয়ে বিজেপিকে লক্ষ্য করে বলেন, “লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি এলাকায় অশান্তি করার জন্য প্রচুর বোমা নিয়ে এসেছিল, সেই বোমাগুলি এখনো উদ্ধার করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বিজেপি রাস্তা অবরোধ প্রসঙ্গে জানান, “কাজ নাই, কম্ম নাই, রাস্তা অবরোধ করলে গরু পেটানো পেটাবে।” যদিও তিনি কারা পেটাবে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানা এলাকার গাংপুর গ্রামে বাবলু মণ্ডলের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিস্ফোরণ হওয়া বাড়ি মালিককে তৃণমূল দাবি করে বিজেপি কর্মী, অন্যদিকে বিজেপি দাবি করে উনি তৃণমূলের কর্মী।