‘হাঁটতে পারে না তাই পরে গেছে জয় প্রকাশ’, অনুব্রত মণ্ডল

অমরনাথ দত্ত : পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হল। এই তিনটি বিধানসভা হলো করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ। যার মধ্যে করিমপুর রয়েছে তৃণমূলের দখলে, খড়গপুর বিজেপির আর কালিয়াগঞ্জ কংগ্রেসের। উপনির্বাচন চলাকালীন বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছবি ধরা পড়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়।

যার মধ্যে সবথেকে বড় ঘটনা হলো করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধর, লাথি মেরে রাস্তার ধারে ঝোঁপে ফেলে দেওয়া। এই আক্রমণের জন্য বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার শাসক দল তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন। তাঁর কথায়, এই আক্রমণটি “বাংলায় গণতন্ত্রের অবসানের সুস্পষ্ট লক্ষণ।” তবে তৃণমূল পাল্টা সুর চড়িয়ে জানিয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদার নির্বাচনের পরিবেশ ‘খারাপ’ করছিলেন, সেই কারণেই তাঁকে আক্রমণ করেছে।

আর বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মারা প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আজ নানুরে গিয়ে কর্মী সম্মেলন থেকে কটাক্ষ করে বললেন, “সে নিজের দোষে পরে গেছে, চলতে জানেনা। সে কি করে পা ফেলতে হয় জানে না। ক্যান্ডিডেট হয়েছে বিজেপির। সে হাঁটতে জানেনা, পরে গিয়েছে তার জন্য কি তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী!” আর লাথি মারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওটাতো মিডিয়ার একটা গল্প।”

প্রসঙ্গত আজ নানুরে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল। যে কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল সহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

নানুরের এই কর্মী সম্মেলন থেকে অনুব্রত মণ্ডল ফের হুঙ্কার দেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নানুর বিধানসভা থেকে তৃণমূল ৫০ থেকে ৫২ হাজার ভোটে লিড পাবে।