হিন্দিভাষীদের সাথে সমাবেশ অনুব্রতর, নজর কাড়লেন হিন্দিতে কথা বলে

নিজস্ব প্রতিবেদন : জেলায় তো অবশ্যই, রাজ্যেও কোথাও হিন্দিভাষীদের নিয়ে আলাদা করে তৃণমূলের সমাবেশ হয়েছে কিনা জানা নেই। এটা আমরা বলছি না, বলছেন খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলাদা করেই গুরুত্ব পেলেন হিন্দিভাষীর মানুষেরা। মঙ্গলবার বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে এই হিন্দিভাষীর মানুষদের নিয়ে সমাবেশ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

এদিন সমাবেশ করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল হিন্দি ভাষায় সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরও দেন। তবে এনিয়ে বিরোধীরাও নানান প্রশ্ন তুলছেন। যদিও তৃণমূল বিরোধীদের সেই সকল প্রশ্নকে পাত্তা দিতে নারাজ। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন সমাবেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন এইভাবে আলাদা করে হিন্দিভাষীদের নিয়ে সমাবেশের প্রয়োজন হল সেই প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত মণ্ডল হিন্দিতেই উত্তর দেন, “আরে ভাই ইয়ে তো মমতা ব্যানার্জি হে না। সব ভাষী কা দরকার হ্যাঁ। হিন্দিভাষী সব অচ্ছে লোগ হ্যাঁ না। কেইসে সমঝতা নেহি। বহুৎ আচ্ছা হে। হামনে তো বোল দিয়া, বোল দিয়ে ভাইয়া। হামরে রাজনৈতিক জীবন মে এই হিন্দিভাষী লোকদের নিয়ে মিটিং করিনি। হাম বোলা তো। নেহি বোলা?”

আর এর সাথে সাথেই তিনি এদিন বীরভূমের একাধিক তৃণমূল নেতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমিতো জানতামই না ওরা হিন্দিভাষীর লোক। ওরাও বাংলা বলে আমিও বাংলা বলি।” এর পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে এবারের ভোটে হিন্দিভাষীর মানুষেরা কি তৃণমূলের উপর আস্থা রাখবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডলের বলেন, “জরুর জরুর।” কেন? অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আরে ভাই ইয়ে তো মমতা ব্যানার্জি কা ভোট হে না।”

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, এদিন যেমন হিন্দিভাষীর মানুষদের নিয়ে বীরভূমের বাসিন্দারা প্রথম কোন তৃণমূলের সমাবেশ দেখলেন ঠিক তেমনই, রাজ্য রাজনীতির অন্যতম আলোচ্য রাজনীতিক অনুব্রত মণ্ডলকেও হিন্দি ভাষায় কথা বলতে দেখা গেল। যাও বেশ চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।