‘কারোর প্রতি মায়া দয়া হলো না!’, ৮ দফা ভোট প্রসঙ্গে অনুব্রত

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নিজের খেলা শুরু করে দিলেন। শুক্রবার বোলপুর হাইস্কুলে বীরভূম জেলার কোয়াক ডাক্তার, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার এবং পশু চিকিৎসকদের নিয়ে একটি সম্মেলন করলেন। আর সেই সম্মেলনে হাতজোড় করে তাদের সামনে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন এবং বলেন, ‘কোন কিছু ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। এই ভোট মমতা ব্যানার্জির। ভোটটা যেন তাকেই দিয়েন।’

আর এর পাশাপাশি তিনি যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তখন প্রশ্ন ওঠে অন্যান্য রাজ্যে ভোট হলেও তা এক অথবা তিন দফার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কেন আট দফার? এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সেটা নরেন্দ্র মোদি বলতে পারবে, অমিত শাহ বলতে পারবে, আমরা কি করে বলবো?” এর পাশাপাশি এই ৮ দফা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভোট কর্মীদের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “কারোর প্রতি মায়া দয়া হলো না!”

অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, “এই গরমে রোদে যারা সেন্ট্রাল ফোর্স তাদের কষ্ট হবে না? তাদের রোদ লাগবে না? তারা তো আমাদেরই কারোর বাড়ির ভাই। কারোর বাড়ীর দাদা, কেউ ভাই। তারাও তো মানুষ। এই গরমে তাদের কষ্ট হবে না? যারা পোলিং এজেন্ট যাবে তাদের কষ্ট হবে না? যারা প্রিসাইডিং অফিসার যাবে তাদের কষ্ট হবে না? বাংলা এমন কি ক্ষতি করলো যার জন্য সবাইকে শাস্তি দিতে হবে! এই লোকগুলোর প্রতি কী কারোর মায়া দয়া হলো না! ঈশ্বর দেখছে। আল্লাহ দেখছে। ছাড়বে না।”

এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এটাও বলেন, “২৯৪ টা বিধানসভা, ২৯৪ টা দফা করলেই তো পারতো। কি দরকার ছিল। একটা করে বিধানসভা, একটা করে দফা। এখানে ৮ দফা ভোট করতে ভালো লাগছে।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই দেখা যায় রাজ্যে ৮ দফায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এই ঘোষণার কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান শাসক দলের নেতাকর্মীরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত দফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

[aaroporuntag]
আর এমত অবস্থায় অনুব্রত মণ্ডলের এমন মন্তব্যে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিরোধীদের কটাক্ষ, “আসলে অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোট কর্মীদের প্রসঙ্গ তুলে সহানুভূতি পেতে চাইছেন। আসল ঘটনা হলো কমিশনের এই সিদ্ধান্তে তারা বিপাকে পড়েছেন। কারণ পূর্বেও আমরা দেখেছি কিভাবে শাসকদল লোককে ভোট দিতে দেয় না, ভোট করিয়ে নেয়।”