‘হেরে গেলেই বাংলার বাইরে’, অন্তর্কলহ নিয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন অনুপম

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চোরা স্রোত বইছে তা কারোর অজানা নয়। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটা কোনভাবেই আকাঙ্ক্ষিত নয়, তাই এনিয়ে এবার নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। এবিষয়ে রবিবার তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেছেন। আর সেই পোস্টেও নিজেদের অন্তর্কলহের কথা স্পষ্ট।

বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা দিন কয়েক আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে রয়েছেন। যে কারণে দলের সাংগঠনিক কাজে সরাসরি নিজেকে যুক্ত করতে না পারলেও সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমেই দলীয় কার্যকর্তাদের অন্তর্কলহ নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন।

তিনি এদিন ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, “”আমরা যদি এই লড়াইয়ে by chnace হেরে যাই, তাহলে তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য, বাংলার বাইরে, অন্য কোনাে রাজ্যে আমাদের নতুন বাসস্থান খুঁজতে হবে!!! আর সবথেকে দুরবস্থা হবে বুথ-স্তরের কার্যকর্তাদের, যাঁরা হচ্ছেন এই লড়াইয়ে আমাদের প্রধান সৈনিক, যাঁরা নিজেদের প্রাণ অব্দি দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন সারা বছর!!!”

আর এমন সতর্ক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অনুপম হাজরা এটাও জানিয়েছেন যে, “আমরা একুশে ক্ষমতায় আসছিই। এই ওভার কনফিডেন্স নিয়ে যারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিবাদ শুরু করেছেন তারা সেই সকল দ্বন্দ্ব বিবাদ মিটিয়ে নিজেদের মধ্যে একতা বজায় রাখলেই ভালো।”

এর পাশাপাশি এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেও বলেন, “আমাদের কাছে 2021শে’র লড়াইয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির, রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ জয় করে আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী মােদীজি কে বিশেষ উপহার দেওয়া!! আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়াই টা হচ্ছে রাজনৈতিক অস্তিত্বের, কারণ 2021শে হেরে গেলে তৃণমূল পার্টি টা’র আর কোনাে অস্তিত্ব থাকবে না, পার্টি টা উঠে যাবে। আর সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুব ভালাে করেই জানেন, আর তাই হয়তাে মরণ কামড় দেওয়ার জন্য প্রস্তুতও হচ্ছেন।”

তবে অনুপম হাজরার এমন ফেসবুক ওয়ালে পোস্টের পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পোস্ট বিজেপি শিবিরকে কিছুটা হলেও বিরম্বনায় ফেলেছে। তবে এমন বিরম্বনায় ফেলার ঘটনা এই নতুন নয়, কারণ তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন তার বেশ কিছু ফেসবুক পোস্ট বারংবার তৃণমূলকে বিরম্বনায় ফেলেছিল। তবে অনুপম হাজরার বারংবার এমন প্রতিক্রিয়া নিয়ে আবার অনেকেই তাকে স্পষ্টবাদী বলেও মতামত পোষণ করেছেন।