‘বাংলায় কত অন্ধকার হাসিনা জি’কে দেখালেন না ‘দিদি”, আক্ষেপ অনুপমের

নিজস্ব প্রতিবেদন : সমকাজে সমবেতনের দাবিতে অনশন আন্দোলনরত রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকরা। এই অনশন আন্দোলনে রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের অন্যতম রেবতী রাউত নামে এক পার্শ্ব শিক্ষিকার মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু তারপরেও নমনীয়তা দেখানো হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে বলে অভিযোগ। আন্দোলনরতদের দাবি, আন্দোলন তার নিজস্ব গতিপথ পেয়ে গেছে। যে আবেগ তৈরি হয়েছে তা রোখার সাধ্য নেই প্রশাসনের।

অন্যদিকে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চলছে খাদ্য উৎসব। রং-বেরঙের হোডিংয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লোভনীয় খাবারের ছবি। স্টলগুলি থেকে বেরিয়ে আসছে সুস্বাদু খাবারে সুগন্ধ। ঠিক তার ৫০ মিটার দূরেই অনশনে বসে রয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। কারও পরিবার, কারও ছোট্ট সন্তান বসে রয়েছে অনশনকারী বাবার কোলে।

আবার এদিকে ইডেনে শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক গোলাপি বলের দিন-রাতের টেস্ট। যে খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসাথে দুজনে বেল বাজিয়ে এই খেলার উদ্বোধন করেন। খোশমেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসে খেলা দেখেন। আর যার পরেই যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের ফেসবুক ওয়ালে।

ইডেন টেস্ট, আহারে বাংলা এসব প্রসঙ্গকে টেনে পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে অনুপম হাজরা লিখেছেন, “দিদি, আপনি ইডেনে গেলেন। খোশমেজাজে খেলা দেখলেন। কিন্তু সৎ সাহস থাকলে, আর একটু কষ্ট করে আপনার “আহারে বাংলা”র ঠিক পাশেই অনাহারে অনশনে থাকা পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থাটাও একটু দেখি যেতে পারতেন। তাহলে শেখ হাসিনা জিও উপলব্ধি করতে পারতেন উজ্জ্বল আলােকময় ইডেনের কিছুটা দূরত্বে বাংলায় কতটা অন্ধকার”

সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের প্রসঙ্গকে আহারে বাংলা আর ইডেনের আলোকোজ্জ্বলতার পাশে অন্ধকারের প্রসঙ্গ তুলে ভাইরাল অনুপম হাজরা।