“ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করলে চিদম্বরমের মত অবস্থা হবে” অনুপম হাজরা

অমরনাথ দত্ত : শুক্রবার রাতে বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুর গ্রামে স্বরূপ গঁড়াই নামে এক বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনায় আরও এক বিজেপি কর্মী নিখোঁজ বলেও জানা গেছে। বিজেপির তরফ থেকে দুষ্কৃতী হামলার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জানা গেছে, গতকাল রাতে রামকৃষ্ণপুর নামে ওই গ্রামে এলাকার বাসিন্দারা একটি মহোৎসবের আয়োজন করে। সেই উৎসবের মাঝে জনা পাঁচশো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বোমা বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি স্বরূপ গঁড়াই নামে এক বিজেপি কর্মী, তাপস সান্যাল নামে আরও এক বিজেপি কর্মী নিখোঁজ বলেও দাবি বিজেপির। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়, পরিস্থিতির মোকাবেলা গ্রামে পৌঁছায় নানুর থানার পুলিশ। বিজেপির ৩ জন এবং তৃণমূলের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে নানুরের ওই গ্রামে পৌঁছান যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। সেখানে গিয়ে তিনি তৃণমূল সরকার এবং পুলিশকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

তিনি বলেন, “যেহেতু এই এলাকাতে বিজেপি বিগত লোকসভা ভোটে লিড করেছে তাই এদের উপর আক্রমণ। এটাই হচ্ছে এদের দোষ।”

তার পরেই তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান, “পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কর্মীদের উপর গুলি এবং বোমা মারার পাশাপাশি অজস্র বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি তাতে তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের বাধ্য করছে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে। ক্ষমতা হারাবার ভয়েই তৃণমূল এমন কাজ করছে। এখানে পুলিশ সক্রিয়ভাবে মদত দিয়ে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর মাধ্যমে এমন কাজ করাচ্ছে। আর এরপরেও যদি তৃণমূল না বদলায় তাহলে ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করলে চিদম্বরমের মত অবস্থা হবে।”

তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ত কর্মাধক্ষ কেরিম খান জানানো হয়, “গত পরশুদিন লাভপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা করে গিয়েছেন। সেই সভায় তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্য অনুপ্রাণিত হয়ে ওই গ্রামের অনুপ গঁড়াই নামে বিজেপি নেতা বাইরে থেকে লোকজন এনে আমাদের তৃণমূল কর্মীদের হ্যাকেল করতে থাকে। আর গতকাল রাতে ওরাই বোমাবাজি ও গুলি চালায়। ঘটনায় স্বরূপ নামে যে ছেলেটি আহত হয়েছেন, তিনি কোন দলের কর্মী নন। তাঁর একটি সাইকেল রিপিয়ারিংয়ের দোকান আছে। বিজেপির ছোঁড়া বোমার আঘাতে আহত এবং বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি।”