অর্থই সবকিছু নয়, মানসিকভাবেও পাশে থাকা দরকার, ঐন্দ্রিলার পাশে সেইভাবেই অরিজিৎ

ঐন্দ্রিলার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে শুক্রবার রাতে ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট করেন সব্যসাচী চৌধুরী। টানা ১৭ দিন পর ঐন্দ্রিলার লাখ লাখ ভক্তের মন ভালো করে দেওয়া খবর দিলেন সব্যসাচী। পোস্টে অভিনেতা পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য কারো কাছ থেকে কোনো অর্থ সাহায্য নিচ্ছে না ঐন্দ্রিলার পরিবার। নিজেদের সামর্থ্য মতোই অভিনেত্রীর চিকিৎসা করাচ্ছেন তাঁর পরিবার। তাই চিকিৎসার আর্থিক বিষয় উত্থাপন করা অর্থহীন।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে গিয়েছিল যে অরিজিৎ সিং নাকি ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এদিনের বক্তব্যের মাধ্যমে সেই খবর যে মিথ্যে তা সব্যসাচী বুঝিয়ে দিলেন। তাছাড়া দিন দুয়েক আগে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও সোশাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার খরচ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছিলেন। এই ধরনের পোস্ট যে ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর পরিবারকে অসম্মান করে তা পরোক্ষ ভাবে জানালেন সব্যসাচী।

সব্যসাচীর জানিয়েছেন, “চিকিৎসার খরচ নিয়ে লেখালিখি বন্ধ করা উচিত। পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ীই চিকিৎসা হবে। এখনও অবধি কারও কাছে এক পয়সাও অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়নি। কারও থেকে এক পয়সাও গ্রহণ করা হয়নি। তাই এটা নিয়ে লেখা মানে ঐন্দ্রিলাকে অপমান করা। তাঁর পরিবারকে ছোট করা।” অভিনেতার সংযোজন, “নিজের অপমান গায়ে মাখি না ঠিকই কিন্তু ওর অপমানে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে।”

তবে এটাও খানিকটা ঠিক যে অরিজিৎ সিং ঐন্দ্রিলাকে সাহায্য করছেন। তবে সে সাহায্য আর্থিক নয়। অরিজিৎ তাদের মানসিক ভাবে ভরসা জুগিয়েছেন। সব্যসাচী জানিয়েছেন যে নতুন নিউরো চিকিৎসক টিম ঐন্দ্রিলাকে দেখছেন তাকে অরিজিৎ সিং রেকমেন্ড করেছেন। এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী বলেন, “গত দু’ দিনের নেগেটিভিটির মাঝে একটা মাত্র মানুষ আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়। যাঁর সঙ্গে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি। তিনি অরিজিৎ সিং।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১ লা নভেম্বর নিজের বাড়িতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই থেকেই হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। মাঝে চিকিৎসায় মোটেও সারা দিচ্ছিলেন না। তবে এই মুহূর্তে আবারও তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলে স্বস্তি ফিরেছে তার অনুরাগী মহলে।