নিজস্ব প্রতিবেদন : ৫ ই আগষ্ট উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ভূমি পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৪০ কেজি রুপোর ইঁট দিয়ে মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তরের কাজ শুরু করবেন দুপুর ১২.৩০। ঐতিহাসিক এই ঘটনার ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্ম সমন্বয়ের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তবে এই অধ্যায়ের মুহূর্তে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন হয়েছে রাজনৈতিক হিন্দুত্বের সংগ্ৰাম, করসেবকদের দ্বারা বাবরি মসজিদ ভাঙনের মতো দুঃখজনক ঘটনা ও রাম মন্দির কমিটি ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে দীর্ঘ আইনি বিচার প্রক্রিয়া।
কেমন হবে এই মন্দিরের নকশা, নির্মাণের পদ্ধতি, উচ্চতা, ব্যয় ও কতটা জায়গাজুড়ে গড়ে উঠবে এই রাম মন্দির!
১৯৮৮ সালে প্রথম এর প্রাথমিক নকশা তৈরি করা হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় এর উচ্চতা হবে ১৪১ ফুট। বর্তমানে নতুন নকশায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এর উচ্চতা হবে ১৬১ ফুট। নতুন করে যোগ করা হয়েছে দুটো মন্ডপ। ১৯৮৮ সালের প্রাথমিক খসড়ায় স্তম্ভ ও পাথরের যে নকশা করা হয়েছিল বর্তমানে সেই নকশায় ব্যবহার করা হবে।
মন্দির গড়ে উঠবে পাঁচটি মন্ডপ ঘিরে। আর থাকবে একটি উচ্চ শিখর। পিলার বা স্তম্ভের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ২১২ থেকে ৩৬০টি। ফ্লোর বা মন্দিরে চাতাল থাকবে ৩ টি। সিঁড়িগুলোর উচ্চতা হবে ১৬ ফুট। ভারতীয় শিল্পশাস্ত্রের নিয়ম মেনে ‘নাগরা’ রীতিতে এই রামমন্দির গড়ে উঠবে।
এই মন্দিরকে ঘিরে থাকবে ৪ টি ছোট ছোট মন্দির। মন্দির রঞ্জিত হবে হলুদ রঙ দিয়ে। ২ লক্ষ রাম নাম লেখা ইঁট দিয়ে এই মন্দিরের মূল কাঠামো নির্মাণ হবে। এই ইঁট আসবে রাজস্থানের বানশি পাহাড় থেকে। এই মন্দির নির্মাণের সময়সীমা ধরা হয়েছে সাড়ে তিন বছর। রাম মন্দির নির্মাণে খরচ পড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মতো।
Iqbal Ansari, former litigant in Ayodhya land dispute case, receives invitation to attend the foundation laying ceremony of #RamTemple in Ayodhya. He says, "I believe it was Lord Ram's wish that I receive the first invitation. I accept it." pic.twitter.com/z1PZMJdwsw
— ANI UP (@ANINewsUP) August 3, 2020
উদ্বোধন মঞ্চে উপস্থিত থাকবে পঞ্চ প্রধান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল এবং মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস। এই অনুষ্ঠানের প্রথম আমন্ত্রণপত্র যায় অযোধ্যা মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ইকবাল আনসারির কাছে। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, ‘এ হচ্ছে প্রভু রামের ইচ্ছা।’ হনুমান পুজো ও বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাম মন্দিরের ভূমিপূজন। এই ঐতিহাসিক ঘটনায় সাক্ষী থাকবে ১৫০ জনের বেশি আমন্ত্রিত অতিথি।