প্রতিদিন মুঠো মুঠো চুল ওঠে! রামদেব বাবার এই টোটকা অনেক কাজের

নিজস্ব প্রতিবেদন : সারা বছর ধরে অনেকেই আছেন যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। বর্ষাকাল এলে আবার এই সমস্যা অনেক বেশি মাত্রায় দেখা যায়। চুল পড়ার এই সমস্যা অনেকের এতটাই বেশি যে টাক পড়তে দেখা যায়। আর এই টাক পড়া মানে সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া।

আসলে এই চুল পড়া হয়ে থাকে মূলত স্ক্যাল্প অপরিষ্কার থাকলে, চুলের যত্ন না নেওয়া হলে। তবে যদি কোন ব্যক্তির দিনে অজস্র চুল পড়ে তাহলে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এই চুল পড়ার সমস্যা দূরীকরণের জন্য রামদেব বাবা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সকল পরামর্শ মেনে চললে চুল পড়া অনেকটাই বন্ধ হতে পারে।

মাথা থেকে চুল পড়ার চিন্তার বিষয় হলেও কিন্তু এটি স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা জানান, দিনে সামান্য সংখ্যক চুল পড়তেই পারে। কারণ আপনার মাথার যে জায়গা থেকে চুল পড়ে সেখানে নতুন চুল গজায়। কিন্তু যদি তার থেকেও বেশি চুল পড়ে তাহলে যেকোনো ব্যক্তিকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক ১০০ টি চুল পড়া কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।

কিন্তু যদি কোন ব্যক্তির চুল পড়ে যাওয়ার পর সেই জায়গা থেকে নতুন চুল না গজায় তাহলে তা চিন্তার কারণ হতে পারে এবং সেখানে টাক পড়তে পারে। মাথার সামনের দিকে স্ক্যাল্পে চুলের ঘনত্ব কমতে শুরু করলে চিন্তা করতেই হবে। রামদেব বাবা এই বিষয়ে একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, এই ধরনের সমস্যা রুখে দেওয়ার জন্য শুধু শুধু দামি দামি কন্ডিশনার অথবা শ্যাম্পু কিনে মাথায় না মাখতে। তিনি জানিয়েছেন, আগে কিভাবে সর্ষে তেল, নারকেল তেল অথবা দই লাগানো হতো।

তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, দুহাতের নখ একসঙ্গে ১০ মিনিট ঘষতে। হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে ২ থেকে ৫ মিনিট শীর্ষাসন করা যেতে পারে। এই আসন চুলের জন্য খুবই ভালো। এর পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছেন আমলকির রস, লাউয়ের রস, আমলকির গুঁড়ো এবং চবনপ্রাশ খাওয়ার। অন্যদিকে শ্যাম্পু করার আগে তেল মাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ডায়েটের ক্ষেত্রেও পুষ্টিকর খাবার, সবুজ শাকসবজি এবং ফল খেতে হবে। বেশি ভাজা ও মশালাদার খাবার খাওয়া যাবে না। স্ট্রেসড, দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য যোগাসনের সাহায্যে মন শান্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।