ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর হুঁশিয়ারি, প্রাণ ভয়ে থানার দ্বারস্থ বৈশাখী

নিজস্ব প্রতিবেদন : সেই বছরের পর বছর ধরে বাংলা কাঁপাচ্ছে শোভন বৈশাখী জুটি। মাঝে দিন কয়েক এই জুটিকে হার মানিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল নুসরত প্রসঙ্গ। তবে তা সাময়িক। নুসরত প্রসঙ্গ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শোভন বৈশাখী জুটি এমন খেল দেখালেন তারাই এখন শিরোনামের কেন্দ্রবিন্দু।

প্রথম দফায় ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে শোভন-বৈশাখী রত্না চ্যাটার্জির নামে একাধিক অভিযোগ আনেন। ঠিক তার এক দিন কাটতে না কাটতেই দেখা যায় বৈশাখী ব্যানার্জি ফেসবুক প্রোফাইলে যুক্ত হয়েছে শোভনের নাম। আর এর পরেই আবার জানা যায় শোভন চ্যাটার্জি তার সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখী ব্যানার্জির নামে লিখে দিয়েছেন।

এই সকল ঘটনাকে নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য ঠিক সেই সময়ই বৈশাখী ব্যানার্জি অভিযোগ করলেন তাকে এবং তার স্বামীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রত্না চ্যাটার্জী। আর সেই হুঁশিয়ারির পর ভয়ে বৈশাখী লালবাজার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এবং নিরাপত্তা দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

লালবাজার থানায় গিয়ে বৈশাখী ব্যানার্জি যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে তিনি লিখেছেন, “রত্না চ্যাটার্জী আমাকে এবং আমার স্বামীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, “উনি শুধু একজন তৃণমূল নেত্রী নন, পাশাপাশি একজন প্রভাবশালী বিধায়ক। আগেও অভিযোগ করেছিলাম কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”

আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৈশাখী ব্যানার্জি আতঙ্কে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। যে কারণে তিনি থানার কাছে নিরাপত্তার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনার পর ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন রত্নাও। উনি জানিয়েছেন, ‘বৈশাখী পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হলে আমি প্রশাসকের দ্বারস্থ হবো’। পাশাপাশি রত্না বৈশাখীর বিরুদ্ধে এটাও অভিযোগ করেছেন কৌশলে তার স্বামীর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার।