ভোটে জিতে শান্তি নেই রত্নার, পিছনে লাগলেন বৈশাখী

নিজস্ব প্রতিবেদন : সদ্য সমাপ্ত হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড শোভন চ্যাটার্জীর থেকে ছিনিয়ে নিলেন তাঁর পত্নী রত্না চ্যাটার্জী। এই ওয়ার্ডে বিশাল ব্যবধানে জয় লাভের পর রত্না চ্যাটার্জী জানিয়েছিলেন, ‘নিজের এলাকা ও নিজের বাড়ি, নিজের আয়ত্তের মধ্যে রাখলাম।’

তবে তৃণমূল বিধায়ক বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করলেও শান্তি নেই। ঠিক আগের মতোই তার পিছনে লাগলেন বৈশাখী। রত্না চ্যাটার্জির জয়লাভের পরেই বৈশাখী ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ‘উনি পৌরমাতা হয়েছেন, সে ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের বাড়িটা ছাড়ুন।’ শুধু তাই না এর পাশাপাশি বৈশাখী সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, উনি পর্ণশ্রীর ১৩৯ ডি/৪ মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়ি না ছাড়লে মামলা করবো।

কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জি তার পর্ণশ্রীর বাড়িটি বৈশাখী ব্যানার্জিকে বিক্রি করে দিয়েছেন এমনটা জানা যায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর। বাড়ির স্বত্ত্ব হাতে পেয়েই বৈশাখী জানান, এখন থেকেই এই বাড়ির মালিক তিনি। বাড়ি তাকে বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে বৈশাখী ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন মামলায় শোভন চ্যাটার্জীর বিপুল খরচের কারণে তিনি তার দুটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। বন্ধু হিসাবে পাশে দাঁড়িয়ে সেই বাড়িটি তিনি (বৈশাখী) কিনে নেন।

বৈশাখী ব্যানার্জির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বেহেলার বাড়ি ছাড়েন শোভন চ্যাটার্জি। তারপর থেকে আর তিনি সেই বাড়িতে যান নি। গোলপার্কের একটি বহুতলে বসবাস শুরু করেন। তবে তিনি নাকি সম্প্রতি ওই বাড়িতে ফিরে আসতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফের মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর হুঁশিয়ারি দিলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আমি চাই বেহালার ছেলে শোভন চট্টোপাধ্যায় স্বমহিমায় নিজের বাড়িতে ফিরুন। বাড়ি না ছাড়লে এর পর মামলা করতে বাধ্য হবো।” তবে শুধু বাড়ি নয়, এর পাশাপাশি মহেশতলার গোডাউনও তিনি উদ্ধার করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, “শোভনের মহেশতলার যে গোডাউন রয়েছে, সেগুলিও আমি উদ্ধার করবো। আমিই এখন শোভনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির অধিকারী। আমি সেগুলি উদ্ধার করবোই।”