নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গে যেসকল চর্চিত জুটি অধিকাংশ সময় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন তাদের মধ্যে একটি জুটি হলো শোভন বৈশাখী। হামেশাই তারা বিভিন্ন কারণে উঠে আসেন সংবাদ শিরোনামে। এই কয়েকদিন আগেই তারা কাশ্মীর বেড়াতে যান। আর তারপর সেখানকার বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর আগে তাদের নিয়েই মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল দুর্গাপূজার সময় রকমারি সাজে।
এসবের পর বুধবার ফের এই জুটিকে শিরোনামে আসতে দেখা গেল বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে। আদালতে বেশ কয়েক মাস ধরেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার স্বামী মনোজিৎ মন্ডলের বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। বুধবার আলিপুর আদালত সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মিউচুয়াল ডিভোর্সের পক্ষেই রায় দিল। এদিন বৈকাল বেলায় বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বামী মনোজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, তার স্বামী তিন বছর ধরে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন। এমনকি যার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছে তাকে নিয়ে মাঝে মাঝে বিদেশেও পাড়ি দেন। এর পাশাপাশি ভারাক্রান্ত মনে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন মনোজিৎ তার একটি মেয়ে রয়েছে।
এর পাশাপাশি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, স্বামীর এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কোন বিবাদে যেতে চান না তিনি। তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের পথেই হাঁটতে চান। তার কথায়, জোর করে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মনোজিৎ মন্ডল এই বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে না চাইলেও তারা দুজনে মিউচুয়াল ডিভোর্স চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
এদিন এই বিষয় সংক্রান্ত রায়ের পর আদালতের বাইরে বেরিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ চূড়ান্ত শুনানি ছিল। বিচারক দুজনের সঙ্গে কথা বলে এবং দুজনের মতামত শুনে বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেন। এদিকে আদালতের রায়দানের পরেই খুশি হন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “বৈশাখীর সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। তবে এই প্রথম ওকে মুক্তির স্বাদ পেতে দেখলাম।” এর পাশাপাশি নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমিও মুক্তির স্বাদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। আগেও বলেছি, এখনও বলছি। কোনও দায়িত্ব নিতে আমি পিছপা হই না।”
