ভাঙ্গা অজয় নদে বাঁশের মাচায় পারাপারের চেষ্টা, তলিয়ে গেল দুটি বাইক

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দুয়েক ধরে টানা বৃষ্টির কারণে বীরভূমের প্রায় প্রতিটি নদীতেই জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। এই জলস্তর বৃদ্ধির কারণে ইলামবাজারের জয়দেবের কাছে অজয় নদের উপর থাকা অস্থায়ী ফেরিঘাট ভেঙেছে গত রবিবার। অস্থায়ী ফেরিঘাট ভেঙ্গে যাওয়ার পর তার উপর বাঁশের মাচা তৈরি করে নদীর এপার ওপারের বাসিন্দারা যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ওই বাঁশের মাচার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়েই বিপত্তি।

জানা গিয়েছে, এই বাঁশের মাচার উপর দিয়ে যাতায়াত শুরু হয় মঙ্গলবার থেকে। তারপর বুধবার তা দিয়ে পারাপার করার সময় মাচা ভেঙ্গে দুইজন বাইক আরোহী সটান অজয় নদে পড়ে যান। ঘটনার পরেই ইলামবাজারের জয়দেব ফাঁড়ির পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় ওই দুই বাইক আরোহীকে নদীর জল থেকে তুলে আনতে সক্ষম হন। তবে উদ্ধার করা যায়নি দুটি বাইক। আর এই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়ায়।

ঘটনার খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান বোলপুর মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিৎ কুমার দে। তিনি এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তারপর বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যেন কেউ নদীর ধারে কাছে অথবা এই ভাঙ্গা অস্থায়ী ফেরিঘাট দিয়ে পারাপারের চেষ্টা না করতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান উভয় দিক থেকেই সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ পুলিশ মোতায়ন করা হয় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

সুরজিৎ কুমার দে জানিয়েছেন, “এসে দেখছি ভাঙ্গা বাঁধ বাঁশের ব্রিজ হয়ে গেছে। আমাদের এই দিক থেকে এবং ওই দিক থেকেও লোকের পারাপার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ এই পারাপার বন্ধ থাকবে। মানুষ যাতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে না পারেন তার জন্য পুলিশ প্রিকেট বসানো হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, অজয় নদের উপর থাকা এই ফেরিঘাটটি বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের যাতায়াতের অন্যতম লাইফ লাইন। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু এই ফেরিঘাটের রাস্তাটি জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন এলাকার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ফেরিঘাট ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার ঘুর পথ বেয়ে যেতে হবে।