এটাই প্রথম নয়, ঠিক ১৪ বছর আগে শুক্রবারেই ওড়িশায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ১৫ বছরে যে সকল ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ভারতের মাটিতে তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) হলো শুক্রবারের দুর্ঘটনা। শুক্রবার দুপুর বেলা হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) রওনা দেওয়ার পর ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যে দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা ছড়িয়েছে হাজার। উদ্ধারকার্য যত এগিয়ে যাবে ততই মৃতের সংখ্যা এবং আহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের এদিক ওদিকের জন্যই যেন আস্ত একটি ট্রেন পরিণত হয়ে গেল মৃত্যুপুরীতে।

তবে করমন্ডল এক্সপ্রেস এই প্রথম এমন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হল এমন নয়। ঠিক ১৪ বছর আগেও করমন্ডল এক্সপ্রেস একইভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। কাকতালীয় সেই দিনটিও ছিল শুক্রবার, আবার ছিল ওড়িশা। ১৪ বছর আগের সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি যখন প্রায় সকলেই ভুলতে বসেছেন ঠিক সেই সময়ই আবার সেই স্মৃতিকে সবার সামনে তুলে ধরল ২ জুনের দুর্ঘটনা।

এর আগে যখন করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সেই দিনটি ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিনও ছিল শুক্রবার। সেই দিনও ট্রেনটি ছিল চেন্নাইগামী। আবার সেই দিনও ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ওড়িশাতেই। ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি করমন্ডল এক্সপ্রেস দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১৬ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। যার মধ্যে ১১ টি কামরা ছিল স্লিপার এবং বাকি দুটি কামরা ছিল জেনারেল।

২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত কালকের মতই সন্ধ্যা বেলায়। এবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ওড়িশার জয়পুরের কাছে। সেদিনের ওই দুর্ঘটনায় ইঞ্জিন থেকে কামরাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এবং একটি কামরার উপর আরেকটি কামরা চেপে গিয়েছিল। তবে ২০০৯ সালের ওই দুর্ঘটনা এবারের মত এত ভয়াবহ ছিল না। সেবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জন যাত্রীর এবং আহত হয়েছিলেন ১৬১ জন।

১৪ বছর পর সেই শুক্রবারই শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর একইভাবে ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে পড়লো করমন্ডল এক্সপ্রেস। তবে এবারের এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনো অবধি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। উদ্ধার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা মুশকিল কত দাঁড়াবে প্রাণহানি এবং আহতের সংখ্যা!