স্টেশন ঢোকার আগেই ট্রেন থেকে নেমে উধাও ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক

চন্দন কর্মকার : শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলতেই বারংবার নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রশাসনকে। নাজেহাল হওয়ার পিছনে রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ম না মেনে যত্রতত্র নেমে পড়া। বারংবার এই ছবি ধরা পড়ার পাশাপাশি পুলিশকে তাদের ধরতে নাজেহাল হতে হচ্ছে।আর এইভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন থেকে নেমে পড়া আরও বেশি চিন্তার ভাঁজ ফেলছে প্রশাসনের মাথায়।

দিন কয়েক ধরেই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। আর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে রবিবার। বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরে চেন্নাই থেকে আগত একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন স্টেশনে ঢোকার আগে সিগন্যাল না পেয়ে বাতাসপুর স্টেশনে দাঁড়ালেই সেই ট্রেন থেকে ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক নেমে চম্পট দেয়। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলগ্রাম বলে জানা গিয়েছে। ট্রেন থেকে নামার পর তারা পায়ে হেঁটে বেলগ্রামের দিকে রওনা দেয়। আর এইভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের নেমে পড়া প্রশাসনের পাশাপাশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাসিন্দাদেরও।

পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে করে নিয়ে আসার পর তাদের স্ক্রিনিং ও মেডিকেল পরীক্ষা করার পরই বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও পাঁচ রাজ্য থেকে আগতদের বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। কিন্তু এইভাবে তারা মাঝ পথে নেমে পড়লে প্রশাসন কিভাবে তা আয়ত্ত্ব করবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও রবিবার বাতাসপুর স্টেশনে যে সকল পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েছিলেন তাদের পরে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।

এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন থেকে নেমে পড়ার পাশাপাশি শ্রমিক বিক্ষোভও হয় সাঁইথিয়া স্টেশনে।গুজরাট থেকে আগত একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা সাঁইথিয়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান। তাদের অভিযোগ চারদিন ধরে এই ট্রেনটি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ পরিষ্কারভাবে বলছে না কোথায় নামাবে। এছাড়াও ট্রেনের যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেনে পর্যাপ্ত খাবার ও জলের অভাব রয়েছে বলে।