প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, খতিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূলের

লাল্টু : ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের নাকরাকোন্দা পঞ্চায়েতের ভাদুলিয়া গ্রামের বাটুল ডোমের নামে সরকার থেকে বাড়ি তৈরীর জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ ২০১৯ সালের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি তৈরির সেই টাকার এক সিকিও পাননি উপভোক্তা বাটুল ডোম। তাহলে সেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা গেল কোথায়!

বাটুল ডোমের পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। পরিবার নিয়ে একটি ভাঙা কুঁড়ে ঘরে বসবাস। যে ঘরে দিনের বেলায় ঢোকে সূর্যের আলো, রাতে চাঁদের আলো। বৃষ্টিতে রেহাই নেই পরিবারের। বৃষ্টির জলে স্যাঁতসেঁতে ভাব বাড়ির আসবাবপত্রে। আর এসব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন পঞ্চায়েতে। আবেদন মতো মঞ্জুর হয় তার বাড়ি, বিভিন্ন নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে এমনটাই। কিন্তু তারপরেও হাতে পাননি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা। কিন্তু কেন? তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে?

Source

টাকা না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাটুল ডোম জানাই, “মোবাইলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ওয়েবসাইটে দেখেছি আমার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা আমি হাতে পাইনি। অথচ আমার অধিকারের সেই টাকা তোলা হয়েছে।”

এ বিষয়ে তিনি আরো জানান, “আমি ব্যাঙ্কের বই, আধার কার্ড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান শিখা ডোমকে দিয়েছিলাম।” নিজের অধিকারের টাকা না পেয়ে অবশেষে ওই ব্যক্তি জেলাশাসক, বিডিও, থানা এবং পঞ্চায়েতকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এখন তাঁর দাবি, “আমার অধিকারের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া হোক।”

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা গায়েব নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানান, “ঘটনার কথা আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ওই ব্যক্তি জেলাশাসক, বিডিও, থানা এবং পঞ্চায়েতকে লিখিত অভিযোগও করেছেন। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে ওই ব্যক্তিকে তার প্রাপ্ত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করছি। তানাহলে বিজেপির তরফ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে।”

জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি মুখার্জী জানান, “আমরা জানতে পেরেছি বাটুল ডোম নামের ওই ব্যক্তির নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা আসা সত্ত্বেও সে পায় নি। দল এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন তিনি টাকা পাননি।”