করোনাকে ঠেকাতে বাঙালি গবেষকের হাত ধরে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে কানাডা

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে ৩১ শে মার্চ অবধি স্কুল বন্ধ। চীন থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। চীনে এই ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভারতেও এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেছে। তবে শুধু ভারতই নয় ইরাক, ইরান, আমেরিকা, ইতালিতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। WHO ইতিমধ্যেই এই রোগকে ‘বিশ্বব্যাপী মহামারী’ বলে ঘোষণা করেছে।

করোনা সংক্রমণের জের তবুও কাটছে না। পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার মুরগির ছানা জ্যান্ত কবর দিচ্ছেন। মানুষজন মাস্ক পড়ে ঘুরছেন তবু ভয় কাটছে না। অবশেষে এলো ভয়কে জয় করার মন্ত্র। দুইজন রোগীর লালারস ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা নিয়ে একধাপ সাফল্য পেয়েছেন কানাডার গবেষক দল। কানাডার গবেষকদল এই প্রসঙ্গে এক ইতিবাচক বার্তা দিলেন। আর বাঙালির গর্ব যে এই দলের মধ্যে রয়েছেন বাঙালি গবেষক অরিঞ্জয় ব্যানার্জী। অবশেষে করোনা ভাইরাসের এই হাতছানি রুখতে কানাডার এই গবেষদের দল একটি উপায় খুঁজে পেলেন। কানাডার ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল সারা বিশ্বের কাছে আনলেন সেই খুশির বার্তা।

বাঙালি গবেষক অরিঞ্জয় ব্যানার্জী কথায়, “তারা কিছুটা হলেও এই ভাইরাসকে জব্দ করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। যার জেরে বিশ্বজুড়ে রোখা যাবে এই প্রাণঘাতী রোগকে।”

তিনি আরও বলেন, “করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে মহামারি রুখতে ভূমিকা নিতে পারছি, এটাও গর্বের।”

তাদের কথা থেকে পরিস্কার যে কানাডার ঐ দল ইতিমধ্যেই এসএআরএস কোভিড-টু (SARS COVID-2) ভাইরাসকে আলাদা করতে পেরেছেন। এরপর সকল গবেষকের একত্রিত প্রয়াসে আবিষ্কার হবে প্রতিষেধক।

অরিঞ্জয় ছোট থেকেই এমন একজন হতে চাইতেন যাতে তিনি মহাসংকট থেকে উদ্ধার করতে পারেন সকলকে। গবেষণায় তাদের এই সাফল্য তাকে সেই পথেই এগিয়ে দিলো। টরোন্টোর ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামিত রোগ বিভাগের গবেষক তিনি। তার এই বিভাগে কাজই হলো নানারকম সংক্রামিত রোগ নিয়ে গবেষণা করা। এই গবেষকের দলই প্রথম কোভিড-১৯-এর চরিত্র চিত্রণ করতে পেরেছেন। অত‌এব এই ভাইরাসকে খুব তাড়াতাড়ি রোখা সম্ভবপর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারত সরকার অনেকদিন আগেই এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন যে এই ভাইরাসকে রোধ করতে গেলে আক্রান্ত মানুষজন বা পশু পাখির থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া বারংবার গরম জলে চোখ মুখ ধোয়ার কথা বলা হয়েছে। অ্যালকোহল বেসড সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে বলেছেন। হাঁচি কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে যত্রতত্র থুতু ও মলমূত্র ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগী সরকার এই ভাইরাসের আতঙ্কের ফলেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন যেখানে তিনি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে বিভিন্ন অফিসে তারা যেন থুতু দিয়ে ফাইলের পাতা না ওল্টান। সংক্রামক রোগের থেকে বাঁচতে এগুলি আমাদের করণীয়। অযথা আতঙ্ক ছড়াতে ও মানা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।