Chithi.me Scam: একটা সময় ছিল যখন একে অপরকে চিঠির মাধ্যমে মনের কথা বলা যেত। কিন্তু আজ সেই চিঠির প্রচলন একেবারেই হারিয়ে গেছে। ডিজিটাল দুনিয়ায় সমস্ত কথাবার্তা অনলাইনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। হঠাৎ ফেসবুকে শুরু হল চিঠি লেখালিখি। না এটা কোন কাগজের উপর পেন দিয়ে হাতে কলমে চিঠি লেখা নয়। ডিজিটাল কাগজের উপর ডিজিটাল কলমে লেখা চিঠি। তবে এই চিঠি লেখার সময় যে কেউ নিজের মনের কথা বলতে পারে তার নাম গোপন রেখে। সম্প্রতি ফেসবুক জুড়ে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে চিঠি.ডট.মি, আর এই চিঠি অ্যাপ নিয়ে শুরু হয়েছে স্ক্যাম (Chithi.me Scam)।
ফেসবুকে সচরাচর সকলেই শেয়ার করছে তাদের লিংক। সেই লিংকে গেলেই দেখতে পাবেন একটি ডিজিটাল পৃষ্ঠা। তার ওপর আপনি আপনার মনের কথা নিজের নাম লুকিয়ে লিখতে পারবেন। তবে এই অ্যাপটি কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার কারণ একটি নামানোর সময় শর্তে বলা রয়েছে যে এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর বেশ কিছু তথ্য নেবে। কিন্তু কখনো এ কথা স্বীকার করা হয়নি যে সেই তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে বা নিরাপদ থাকবে। এটি কিন্তু ভারতে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন নয়, বাংলাদেশের তৈরি। তাই চিঠি অ্যাপ নিয়ে স্ক্যাম (Chithi.me Scam) হলেও ধরা খুব চাপের।
আরো পড়ুন: পেনসিলের গায়ে ছোট্ট ছোট্ট করে লেখা H বা B-এর অর্থ জানেন কি!
কীভাবে ‘চিঠি.মি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন?
সর্বপ্রথম ফোনে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে।
সেখানে গিয়ে ‘চিঠি.মি’ নামটি লিখে অ্যাপটি সার্চ করতে হবে।
আরো পড়ুন: ইসকন সাধুর গ্রেফতার ঘিরে উথাল-পাতাল বাংলাদেশ! হঠাৎ গ্রেফতারের কারণ কি
তখনই দেখতে পারবেন। এরপর ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে নামিয়ে নিন অ্যাপটি।
এবার অ্যাপটি চালানোর জন্য নিজের নাম ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে অবশ্যই।
এরপর এটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে। আপনার শেয়ার করা লিঙ্কে গিয়ে নিজের নাম লুকিয়ে আপনার জন্য বার্তা দিতে পারবে।
সবথেকে নজর করেছে যে বিষয়টি সেটি হল চিঠি ডটমি এর অফিশিয়াল ইমেইল আইডিটি হল chithi.me.app@gamil.com। এটি কোন বড় সংস্থা বা কোন অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ইমেইল আইডি হতে পারেনা। এটি যে কোন জায়গায় বসে যেকোনো ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে ইমেইল আইডি খুলতে পারে। তাই এই ইমেইলের মাধ্যমে যদি কোন স্ক্যাম (Chithi.me Scam) হয় তবে কিন্তু তার ধরা ভীষণই কঠিন। তার কারণ এই সাধারণ ইমেইল আইডি দিয়ে স্ক্যামারের পার্সোনাল তথ্য খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। তাই ক্ষণিকের আনন্দের জন্য নিজের ক্ষতি না করাই শ্রেয়।