Bhim Shila: বিধ্বংসী বন্যাতেও কিছু হয় না, কেদারনাথ মন্দিরকে রক্ষা করছে এই পাথর

The Stone, who saves the temple of Kedarnath from flood: কেদারনাথ দেবাদিদেব মহাদেবের পীঠস্থান। হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানও বোটে। উত্তরাখণ্ডের চারধামের অন্যতম হলো এই কেদারনাথ মন্দির। মন্দিরটি অবস্থিত মন্দাকিনি নদীর ধারে, কথিত আছে এই তীর্থস্থানে মহাদেব স্বয়ম্ভূ হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালের বিধ্বংসী বন্যায় ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই তীর্থক্ষেত্র। সবার মতে, গত ১০০ বছরে এত ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর আসেনি। কিন্তু সবথেকে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, প্রবল জলের স্রোতে আশপাশের সব কিছু ভেসে গেলেও একটুও আঁচড় লাগেনি কেদারনাথ মন্দিরের গায়ে। যাকে রক্ষা করেছে ‘ভীমশীলা’ (Bhim Shila)।

‘ভীমশীলা’ (Bhim Shila) হল আসলে একটি বিশাল আকৃতির পাথর, যা পাহাড় থেকে গড়িয়ে এসে ঠিক কেদারনাথ মন্দিরের পেছনে মন্দিরকে আড়াল করে দাঁড়ায়। বলা হয় যে, এই পাথরের জন্যই উপরের চোরাবালি তাল থেকে উপচে আসা প্রবল জলের তোড় সরাসরিভাবে মন্দিরের গায়ে আঘাত করতে পারেনি। এই পাথরটিকে বলা হয় ভীম শিলা বা ঈশ্বরের পাথর। ভক্তদের মতে, স্বয়ং ঈশ্বর কেদারনাথ মন্দির রক্ষা করার জন্য ভীম শিলা পাঠিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, ২০১৩-র ১৬ জুন যে প্রবল জলস্রোত আছড়ে পড়েছিল কেদারনাথে, তাতে মন্দির ধ্বংস হয়ে যাওয়ারই কথা। সেই সময় প্রাণে বাঁচতে বহু মানুষ আশ্রয় নেয় কেদারনাথ মন্দিরের ভেতরে। ভারতীয় সেনা হেলিকপ্টার নিয়ে এসে তাঁদের এয়ারলিফ্ট না করা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই আটকে থাকেন। ‘ভীমশীলা’ (Bhim Shila) ঠিক সময় মন্দিরকে রক্ষা করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। না হলে নিহতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতো।

সেই বিধ্বংসী জলের স্রোতের সঙ্গে গড়িয়ে আসলেও মন্দির থেকে কয়েক মিটার দূরে গিয়ে আটকে গিয়েছিল ভীম শিলা। যদি তা না হতো, তাহলে প্রচণ্ড বেগে ওই বিশাল পাথর এসে মন্দিরের গায়ে আছড়ে পড়লে সব ধ্বংস করতে পাড়ত। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মন্দির থেকে ঠিক কয়েক মিটার দূরে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে ১২ ফুট উঁচু এবং ২০ ফুট চওড়া ভীম শিলা। বর্তমানে কেদারনাথ মন্দিরেরই একটা অংশ বলে ধরা হয় ভীম শিলা বা ঈশ্বরের পাথরকে।

চলতি বছরে কিছু দিন আগে চালু হয়েছে চারধাম যাত্রা। যা হিন্দুদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গত ২৫ এপ্রিল খুলে দেওয়া হয় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। অবশ্য শীতকালে প্রবল তুষারপাতের কারণে বছরে ছয় মাস এই মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে ভক্তদের জন্য।