কয়েক মাসের অপেক্ষা মাত্র, বাঙালির প্রাণের পূজো দুর্গা পূজো দোরগোড়ায়। যে পুজোয় প্রতি বছরের মত এবারও মেতে উঠবে বাঙালি মন। কিন্তু তার আগেই রাজ্যের সমস্ত জেলার থানাগুলিতে কড়া নির্দেশ গেল মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। আসন্ন দুর্গাপুজো নিয়ে নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ জারি করল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর দুর্গাপুজো নিয়ে নির্দেশিকা পাঠাতে শুরু করল রাজ্যের সমস্ত থানায়।
পুলিশ, দমকল এবং বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার তরফ থেকে কিছু নির্দেশিকা প্রতিবছরই পুজো কমিটিগুলির জন্য থাকে৷ কিন্তু এবছর যুক্ত হলো নবান্নের নতুন নির্দেশিকা৷ যা শুনে পুজো উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছেন৷
কি সেই নির্দেশিকা?
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী দুর্গাপুজোয় রাজ্যের কোথাও রাস্তা আটকে মণ্ডপের অনুমতি দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে রাজ্যের সমস্ত থানাকেই ওই নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পুজো কমিটিকেও। বিশেষ করে ক্লাবগুলি যাতে রাস্তা আটকে কোনও পুজো মন্ডপ তৈরি করতে না পারে সেজন্যে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। নবান্নের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বহু দুর্গাপুজো কমিটি। তাঁদের পালটা বক্তব্য, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে আমরা এভাবেই রাস্তার উপর পুজো করেছি। তখন কি যানজট সমস্যা ছিল না?
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
নবান্নের মতে, রাস্তা আটকে দুর্গাপুজো হলে সাধারণ মানুষকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। গত বছরেও এ ধরনের একাধিক হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। যে সমস্ত অভিযোগের কথা মাথায় রেখেই এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, এভাবে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা আটকে পুজো করার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। গত বছর পুজোর সময় এই সংক্রান্ত ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরির কন্ট্রোল রুমে। আর তা বিচার করেই রাস্তা আটকে পুজো করার ক্ষেত্রে এহেন নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
কোথায় কোথায় এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে?
শুধুমাত্র কলকাতার ক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের সমস্ত জায়গাতেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। নবান্ন মনে করছে, শুধু কলকাতাই নয়। জেলার বহু জায়গাতে এভাবে রাস্তা আটকে পুজো করা হয়। যার কারণে মানুষকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এমনকি সেখানেও তীব্র যানজটের মধ্যে পড়তে হয়। আর সেজন্যেই এই নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য প্রশাসন।