Ticket Cancellation Fee: ভারতীয় রেল হল দেশের পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। এক কথায় বলা চলে এটি হলো দেশের মেরুদন্ড। ধনী থেকে দরিদ্র যেকোন মানুষ খুব সহজে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেতে পারে ভারতীয় রেলের মাধ্যমে। সম্প্রতি ভারতীয় রেল টিকিট ক্যান্সলেশন সম্পর্কে এক বড়সড় আপডেট নিয়ে এসেছে। চলুন চটজলদি আজকের প্রতিবেদনে সেইটাই জেনে নিই।
ভারতীয় রেল তুলে দিচ্ছে ট্রেনের টিকিটের ক্যানসেলেশন ফি(Ticket Cancellation Fee)। ট্রেন হল এমন একটি পরিবহন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ মানুষ যাতায়াত করে। তাই ট্রেন সম্পর্কে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আগ্রহী হয় সাধারণ মানুষ। নিত্যদিনের যাত্রা থেকে শুরু করে দূরপাল্লার যাত্রা সবকিছুর ক্ষেত্রেই ট্রেনের বিকল্প কিছু নেই। সরকারের কাছেও প্রায় প্রতিদিনই রেল নিয়ে হাজারো প্রশ্ন আসে। কেন্দ্র সম্প্রতি ট্রেনের টিকিটের ক্যানসেলেশন নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিল।
সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ইকরা চৌধুরী ট্রেনে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটের উপরেও ক্যানসেলেশন ফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিষয়টির উপর আলোকপাত করে তিনি জানতে চেয়েছেন যে, রেলের তরফ থেকে সিট না থাকায় অনেক সময় ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়। বাতিল করা টিকিটের ক্যানসেলেশন ফি (Ticket Cancellation Fee) নেওয়া হয়ে থাকে কিন্তু এবার থেকে আর তা হবে না। সরকার কি আইআরসিটিসির এই নিয়ম সম্পর্কে জানে? সরকার কি তবে নতুন বছরে তুলে দেবে এই ক্যান্সলেশন ফি?
সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটের উপরে রেল ক্লার্কেজ চার্জ নিয়ে থাকে। অন্যান্য পরিষেবার মত টিকিট ক্যানসেল হয়ে গেলে ক্যান্সলেশন ফি (Ticket Cancellation Fee) হিসেবে রাজস্ব নেয় ভারতীয় রেল। সেই ফি এর টাকা খরচ হয়ে থাকে রেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনের জন্য।
তাহলে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করার কি অর্থ দাঁড়ায়? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, কনফার্ম বা আরএসি টিকিট ক্যানসেল হলে, শেষ মুহূর্তে যাতে কোনোভাবেই ট্রেনের কোন সিট ফাঁকা না যায় তার জন্য এই ব্যবস্থা। রেলমন্ত্রী আরো জানিয়ে দিয়েছেন যে, ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীরা ভারতীয় রেলের বিকল্প স্কিমের অধীনে একই রুটের অন্য কোন ট্রেনে সহজেই সফর করে পৌঁছতে পারবেন গন্তব্যস্থলে।