পৌষ মেলাকে পরিবেশ বান্ধব করতে তৎপর প্রশাসন, এক নজরে ব্যবস্থাপনা

অমরনাথ দত্ত : বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বভারতী পৌষ মেলা নিয়ে বারংবার হোঁচট খাচ্ছে পরিবেশ আদালতে। বারবার আদালতে ধাক্কা খাওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিশ্বভারতীর কোষাগার থেকে খসছে। যে কারণে এবছর প্রথম থেকেই দোলাচলে ছিল পৌষ মেলা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস আগে জানিয়ে দিয়েছিল তারা এবছর মেলা পরিচালনা করতে পারবে না। যদিও দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে মেলা চালানোর দায়িত্ব নেয় তারা। প্রতিবারের মতো এবারের মেলার দায়িত্বে বিশ্বভারতীর তৈরি করা কমিটি থাকলেও মেলা এবার তিন দিনের, আর চতুর্থ দিন উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, এত কিছুর পরেও মেলা কি পরিবেশ বান্ধব করে তোলা সম্ভব! আবার পরিবেশ আদালতে হোঁচট খেতে হবে না তো বিশ্বভারতীকে!

এবারের মেলাকে যেনতেন প্রকারে পরিবেশ বান্ধব করে তোলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বীরভূম জেলা প্রশাসন। বারবার বীরভূম জেলা প্রশাসনের সাথে এবিষয়ে বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা কমিটির চলছে বৈঠক। সেই মত আজও একটি বৈঠক হয় বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল হলে। যেখানে মেলাকে সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব করে তোলার জন্য বেশ কয়েকটি কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানা যায়।

বৈঠক শেষে বীরভূম জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, “মেলায় স্টল বুকিংয়ের অনলাইন পদ্ধতি, পার্কিং, নিরাপত্তা-ব্যবস্থা এসব নিয়েই প্রাথমিক আলোচনা হলো। এরপরেও আরও যেসব সাব কমিটি রয়েছে তাদের সাথে জেলা প্রশাসনের আলোচনা হবে।”

জেলাশাসক আরও জানান পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে এবারের মেলা হবে প্লাস্টিক ফ্রী, ভালো কোন এজেন্সিকে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব দেওয়া হবে, মেলা প্রাঙ্গণে ১০০ টি বা তার বেশিও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি টয়লেট গুলিকে চিহ্নিত করার জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা করা হবে, যাতে করে সাধারণ মানুষ দূর থেকে বুঝতে পারেন এখানে টয়লেট রয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, এবারের মেলার আগে থেকে একটি ব্লুপ্রিন্ট বানানো হবে, যা হয়তো আগে কখনো বানানো হয়নি।